Skip to content

৮ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বুধবার | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে’

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রিমান্ড নাকচের পর প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। এর আগে সকাল ১১ টার পরে তাকে আদালতে তোলার সময় 'স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর রিপোর্ট করায় তাঁর সাথে অন্যায় হয়েছে'  বলে দাবি করেন তিনি।

 

এক সাংবাদিকদের জবাবে তিনি বলেন,  ‘আমার সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে, আমার সাথে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট করায় আমার সাথে অন্যায় করা হচ্ছে।’ এ সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা তাকে কথা বলতে বাধা দেন। তারা বলেন, ‘কোন কথা বলা যাবে না’। কেন কথা বলা যাবে না জানতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা বলেন, ‘নিষেধ আছে’। এ সময় সাংবাদিকদের ধমকও দেন তারা।

 

রোজিনা ইসলাম যেন বাংলাদেশের সাংবাদিকদের বর্তমান অবস্থারই প্রতিনিধিত্ব করে। যেন নির্যাতন করা হয়েছে একজন সাংবাদিককে নয়, পুরো অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে। কেবল রোজিনা ইসলামকে নয় কারাগারে বন্দী করা হল সৎ, আপোষহীন ও নির্ভীক সাংবাদিকতাকে। 

 

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য চুরির অভিযোগে শাহবাগ থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের পিএস এর রুমে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোজিনা ইসলামকে সচিবালয় থেকে পুলিশি পাহারায় শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়।

 

দণ্ডবিধি ৩৯৭ এবং ৪১১ অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ১৯২৩ এর ৩/ ৫ এর ধারায় এ মামলা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী। এ মামলার একমাত্র আসামি করা হয়েছে রোজিনা ইসলামকে। সোমবার দিনগত রাতে শাহবাগ থানার এডিসি হারুনুর রশিদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ