বই দিবসের আদ্যোপান্ত
প্রায় ৩০০ বছর আগে জোসেফ এডিসন বলেছিলেন, “Reading is to the mind what exercise is to the body ”। যার বাংলা অর্থ দাড় করালে হয়, 'ব্যায়াম যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে তেমনি বই পড়ার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের মনকে সুস্থ ও আনন্দিত রাখতে পারি।' বই হতে পারে মন খারাপের সঙ্গী, একাকীত্বের সঙ্গী।
বই পড়া থেকে একাধারে আনন্দ, বুদ্ধি ও সক্ষমতা অর্জিত হয়। আর বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল পালিত হয় বিশ্ব বই দিবস। রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করা হয়।
বই পাগল বেশিরভাগ মানুষই হয়তোবা জানেন ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস। কিন্তু এর নেপথ্যের ঘটনা হয়তোবা অনেকেরই অজানা৷ বিশ্ব বই দিবসের মূল ধারণাটি আসে স্পেনের লেখক ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেসের কাছ থেকে। যিনি ছিলেন স্পেনের এক বিখ্যাত লেখক মিগেল দে থের্ভান্তেসের বিশেষ অনুরাগী।
১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিলে মারা যান মিগেল দে। নিজের প্রিয় লেখককে স্মরণীয় করে রাখতেই ১৯২৩ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে আন্দ্রেস স্পেনে পালন করা শুরু করেন বিশ্ব বই দিবস। এরপর দাবি ওঠে প্রতিবছরই দিবসটি পালন করার। অবশ্য সে দাবি তখন খুব একটা সাড়া পায়নি। বহুদিন অপেক্ষা করতে হয় দিনটি বাস্তবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য।
অবশেষে ১৯৯৫ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জ দিনটিকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং পালন করতে শুরু করে। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
বই একাধারে যেমন বিনোদনের খোরাক যোগায় ঠিক তেমনি আবার সাহায্য করে আত্মোপলব্ধি করতে, মানসিক প্রশান্তি আনয়নে। তাইতো প্রযুক্তির উচ্চশিখরে দাড়িয়েও আধুনিক ডিভাইসের স্ক্রিনে পিডিএফ ফাইলে চোখ না বুলিয়ে এখনও বইয়ে চোখ বুলিয়েই আনন্দিত হন হাজারো বই প্রেমীরা।