Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাম ব্যঙ্গবিদ্রূপের রাজনীতি

আজকাল রাজনৈতিক মঞ্চ মানেই ব্যঙ্গবিদ্রূপের ছড়াছড়ি। একদল ভুলক্রমে কিছু বলে ফেললো তো পাল্টা জবাব দেয়া চাই আরেক দলকেও । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে  রাজনীতিতে তোপের মুখে পরতে হয় নারীকে, হতে হয় ব্যঙ্গবিদ্রূপের শিকার।  সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভরা জনসভায় দাঁড়িয়ে ব্যঙ্গ করে আলোচনায় আসেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

নির্বাচনকে ঘিরে একের পর এক জনসভা করেই যাচ্ছেন বিজেপি ও তৃনমূল নেতাকর্মীরা।  জনসভায় বিরোধীদলকে খোঁচা মেরে কথা বলছেন দু'পক্ষই। এ নিয়ে বেশ তোপের মুখেই পরছেন  পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী 'মমতা ব্যানার্জী'। কখনও ‘‌পিসি’‌ বলে খোঁচা দিচ্ছেন কেউ। কখনও আবার সুর করে ডাকছেন ‘‌দিদি’‌। এমন কি এ সুরে তাল মেলালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী৷ মমতাকে "দিদি ও দিদি" বলে ব্যঙ্গ করলেন তিনি। আর তাই এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কঠোর জবাব দিলেন  তৃনমূল সাংসদ  মহুয়া মৈত্র। 

গত বৃহস্পতিবার  পশ্চিমবঙ্গের  নন্দীগ্রামে ভোট অনুষ্ঠিত হয় । সেখানে সারা দিন রাজ্যে বিরোধী বিজেপি–র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছে খোদ শাসকদল তৃনমূল । ইভিএম–এ কারচুপি, তৃণমূলের এজেন্টকে বুথে ঢুকতে বাধা, বোমাবাজি— ইত্যাদির অভিযোগ তুলেছে তারা। এসব দেখেই বিজেপি–র খোঁচা, ‌নন্দীগ্রামে হারছেন দিদি আর তাই  এসব করছেন। 

 

উলুবেড়িয়ার জনসভায় এমন মন্তব্য করতে গিয়েই মমতাকে ব্যঙ্গ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বলেন, ‘‌দিদি আপনার কাজকর্ম থেকে স্পষ্ট, আপনি নন্দীগ্রামে হারছেন। আপনার কাজকর্ম দেখেই মনে হচ্ছে আপনি হার মেনে নিয়েছেন। দিদি ও দিদি, আপনি নাকি অন্য কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পেশ করবেন। এটা কি সত্যিই?‌’‌ 

বেশ কঠোর ভাষায়ই এর জবাব  দিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া। বললেন, ‘‌হ্যাঁ প্রধানমন্ত্রী। তিনি লড়বেন। বারাণসীতে লড়বেন। অস্ত্র নিয়ে তৈরি থাকুন।’‌ নিজের টুইটার একাউন্টে এ টুইটটি করেন।  এছাড়াও একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে 'দিদি ও দিদি' বলে ব্যঙ্গ করার জবাবও দেন তিনি। রকের ছেলে বলে আখ্যায়িত করেন প্রধানমন্ত্রীকে।  বললেন, ‘‌বাংলায় রকের ছেলে বলে একটা বিষয় রয়েছে। যারা রাস্তার ধারে দেওয়ালের ওপর বসে সব মেয়েদের দেখে চেঁচায় দিদ্দি এই দিদ্দি। প্রধানমন্ত্রী এখন তাই করছেন।’‌

 

রাজনৈতিক মঞ্চে একজন নারীকে ভরা সভায় কি করে ব্যঙ্গ করতে পারেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকে৷ আর এতে করে ব্যাপক সমালোচনারও শিকার হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ