পূজায় চুলের সাজ
এইতো শুরু হয়ে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব এটি। পূজার পাঁচদিনে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরাঘুরি হয় প্রচুর। তাই সাজগোজের বিষয়টাও মাথায় রাথতে হয়। চুলের সাজ নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয় অনেককেই। কোন পোশাকের সাথে চুলের কোন সাজ ভালো লাগবে, আবার তার আরামদায়ক হবেনা তো এসব নিয়ে ভাবতে হয় অনেক। আবার পূজায় ঘুরাঘুরির সময় চুলের দিকে কিন্তু বিশেষ নজর দিতে হয়।
চুলের সাজ পোশাকের সাথে মিলিয়ে দিলেই ভালো হয়। পোশাকের সাথে চুলের সাজ না মিললে সাজটা যেন সুন্দরমতো মতো ফুটে উঠেনা। তাই সাজে পরিপূণর্তা আনতে হলে পোশাক ও মেকাপের সাথে চুলের সাজেও নজর দিতে হবে। পুজায় চুলের সাজে কিছু টিপস কাজে লাগাতে পারেন।
কুর্তি বা টপস এর সাথে চুল ছেড়ে দিলেই বেশি ভালো লাগে। আবার বেণী করে এনে সাইডে ছেড়ে দিলেও সুন্দর লাগবে। এক্ষেত্রে সামনে একটু ফুলিয়ে ফ্রেঞ্চ বেণীও করা যেতে পারে। এতে বেশ লাগবে। টপসের সাথে চুল সামনে হালকা ফুলিয়ে পিছনে ঝুটি করলে সুন্দর লাগবে। ঝুটিটা একটু উচিয়ে করলে আরো ভালো লাগবে।
আবার সালোয়ার কামিজের সাথে চুল ছেড়ে দিলেই বেশি সুন্দর লাগবে। সেক্ষেত্রে চুল সাময়িক স্ট্রেইট করলে ভালো লাগবে। মাঝখানে বা কিনারে সিথী করা যেতে পারে।
এবার আসি শাড়ি নিয়ে। শাড়ির সাথে বিভিন্ন স্টাইল করা যেতে পারে। তবে খোঁপাই বেশি মানানসই। একটু ফুলিয়ে খোঁপা করলে খুব মানায় শাড়ির সাথে। সাথে খোঁপায় ফুল দিলে তো আর কথাই নাই। খাঁপার সাথে দুপাশে কিছু চুল কার্লি করে দিলে সুন্দর লাগে। আবার শাড়ির সাথে চুল ছেড়েও দেয়া যেতে পারে। সাময়িক স্ট্রেইট করে ছেড়ে দিলেও বেশ লাগে। তবে পুজায় শাড়ির সাথে চুলে খোঁপাই বেশি মানায়।
সময়ের সাথেও চুলে কিছু ভিন্নতা আনতে হয়। দিনে চুলে বেশি ভারি সাজ না দিয়ে হালকা সাজ দেয়াই ভালো। যেমন চুল ছেড়ে দেওয়া, ফ্রেঞ্চ বেণী, হালকা খোঁপা এসব সাজ দিনেই ভালো লাগে। রাতের ক্ষেত্রে চুলে ভারি খোঁপা করে জমকালো কাটা বা ক্লিপ দেয়া যেতে পারে, বেণী করলে বেণীতে প্রতি ভাজে পাথরের ক্লিপ দেয়া যেতে পারে। এভাবে সময়, পোশাক অনুযায়ী চুলের সাজে ভিন্নতা আনতে হয়। তবে চুলে সাজের পর হেয়ার স্প্রে করা উচিত। তাহলে যেকোনো সাজেই চুলটা সেট থাকে। ঘুরাঘুরিতে ও দীর্ঘ সময়েও চুলের সাজে কোনো পরিবর্তন হয়না।