Skip to content

২৯শে মে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ | সোমবার | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পরিমিত সাজে এবারের ঈদ

প্রতিটি ঈদই মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য আনন্দের উপলক্ষ। বাংলাদেশে এই আনন্দ শুধু মুসলিমদের নয়, বরং সবার। সেই উপলক্ষকে কেন্দ্র করে এখানকার প্রতিটি নারীই নিজেকে সাজিয়ে তোলেন এক নতুন আঙ্গিকে। তবে এ বছরের ঈদ কিছুটা ভিন্ন। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পায় নি বাংলাদেশ। এই সংক্রমণ এড়াতে গত দুই মাস থেকে চলছে লকডাউন। সম্প্রতি ঈদকে সামনে রেখে লকডাউন কিছুটা শিথিল করে সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে খোলার অনুমতি পেয়েছে পার্লারগুলো। কিন্তু তাতে কি? করোনা ভীতিতে এখন প্রায় শূন্য সেগুলো। অনেকেই যাচ্ছেন আবার সাহস পাচ্ছেন না যাবার। আবার অনেকেই আপন মনে ঠিক করে নিয়েছেন, এই ঈদে নিজেকে কিভাবে সাজিয়ে তুলবেন।

 

সাজে ভারসাম্য

 

এবারের ঈদ উৎসব অন্য বছরের চেয়ে আলাদা হতে যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতির কারণে তো আর ঈদের উৎসব ম্লান হয়ে যেতে পারে না। সে কারণে এবার ঘরে বসে নিজেই নির্বাচন করে নিতে পারেন এই ঈদের সাজ আর পোশাক। ঈদের দিনের পোশাকটি যদি ভারী কাজের হয়ে থাকে, তাহলে সাজে রাখুন সহজাত ও ছিমছাম আমেজ। সাজ আর পোশাকে একটা সরল ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করুন।

 

যেকোনো উপলক্ষে ন্যুড লিপস্টিক মানানসই। তাই ঈদের সকালের হলুদ শাড়ি হোক কিংবা সন্ধ্যার জাঁকালো গোলাপি-রুপালি লেহেঙ্গা—ভাবনা দুই সময়েই ন্যুড লিপস্টিক পরবেন ঠোঁটে। ঘর থেকে কাটানো ঈদটাকে পোশাক দিয়ে রঙিন করবেন, তবে সাজে রাখবেন ঘরকন্নার আমেজ।

 

লিপস্টিক আর মাসকারা

 

এবারের ঈদে বাইরে ঘুরতে যাওয়া, কিংবা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো না হলেও পরিবারের সঙ্গে কাটানো যাবে অফুরন্ত সময়। সেই সময়কে উৎসবমুখর করতে আর মনকে চনমনে-চাঙা রাখতে পরিপাটি পোশাক ও সাজগোজের বিকল্প নেই। অল্পতেই যে সাজ আপনার ব্যক্তিত্বে লক্ষণীয় পরিবর্তন আনবে, ঈদের দিন সেটি বেছে নিতে পারেন।

 

কারো সাজের নিত্য অনুষঙ্গ কাজল, তো কারো টিপ, কেউ আবার হালকা ফাউন্ডেশন দিলেই বদলে যায় চেহারার ক্লান্তিকর ভাব। তাই ঠিক ওই অনুষঙ্গটিই ব্যবহার করেন, যা মুহূর্তেই বাড়ির ভেতরেই আপনার মধ্যে এনে দেবেই ঝলমলে ভাব। তাই ঈদের সাজে সহজেই ব্যবহার করতে পারেন লিপস্টিক আর মাসকারা। কেননা এগুলো খুব সহজেই আপনার মধ্যে এনে দেবে সেই ঝলমলে ভাব। ঈদের দিনের সাজে আর কিছু না থাকলেও, পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মাসকারাটা আর লিপস্টিক রাখার চেষ্টা করুন।

 

ঈদে দিন সকালে শাড়ি কিংবা ভারী পোশাকের পর্ব শেষ করে বিকেলে ফিউশন ধারায় নকশা করা হালকা কাজের লেহেঙ্গা কিংবা কামিজকে রাখতে পারেন পোশাকের তালিকায়। গোলাপিরঙা স্কার্টের সঙ্গে লেহেঙ্গা, রুপালি টপ যোগ করবে উৎসবের আমেজ। আবার এক সেটের পোশাক আরেক সেটের সঙ্গে পরে চলতে পারে মিক্সড অ্যান্ড ম্যাচিং স্টাইল। আবার পুরো সেট একসঙ্গে না পরে এক সেটের পায়জামা, আরেক সেটের কামিজের সঙ্গে পরেও তৈরি হতে পারে নতুন ধারার স্টাইল। তার ওপরে লম্বা কটি বা একটা স্কার্ফ জড়িয়ে নিলেই হয়ে যাবে নতুন ফ্যাশন।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ