Skip to content

২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বুধবার | ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুলে দিয়েই সাজিয়ে ফেলুন চুল

বৈশাখী সাজে ফুল একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। শাড়ির সঙ্গে ফুল থাকবে না, বৈশাখের সাজে অন্তত এটা হতেই পারে না। আজকাল তো ফুলের সাজ শাড়ি থেকে সালওয়ার কামিজ, ফতুয়া, টপস সবকিছুতেই ভর করেছে। ফুলের সঙ্গে বৈশাখের তাই আজন্ম মাখামাখি। বৈশাখ বরণের এই আয়োজনে বাঙালি নারীর সব পোশাকের সাথেই রঙ্গিন ফুল আমাদের লাগবেই। তাই আসুন জেনে নিই, কোন ফুল কিভাবে ব্যবহার করলে আপনাকে আরও একটু মোহনীয়, আরও একটু প্রাণবন্ত লাগবে দিনভর।

বৈশাখ মানেই প্রচণ্ড রোদ আর গরম। তাই সারাদিন ঘোরাঘুরি করতে করতে আমরা প্রচুর ঘেমে যাই। আমাদের তাজা ফুল ম্লান হয়ে পড়ে। তাই বৈশাখী সাজে প্রথম যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে তা হল, আমাদের সাজের সঙ্গে শরীরের আরাম নিশ্চিত করা। আর আপনি আরামে থাকলেই আপনার সাজও দেখবেন অটুট থাকবে অনেক বেশি সময়।

প্রথমেই আসি লম্বা চুলের কথায়। শাড়ির সঙ্গে খোলা চুলে ফুলের সাজের কোনো তুলনা হয় না। কিন্তু সারাদিন আপনি চুল খোলা রাখলে আরাম পাবেন না। চুল পেঁচিয়ে এলোমেলো হবে। বেশি ঘামও হবে। তাই লম্বা চুলে একটি এলো খোঁপা করতে পারেন। করতে পারেন হাত খোঁপা বা ফ্রেঞ্চ খোঁপা বা বেনুনি। আর তাতেই সাজিয়ে দেন আপনার শাড়ি বা পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কিছু ফুল, সে যে ফুলই হোক।

চুলের বেণী করার ক্ষেত্রে অর্কিড, জারবেরা খুব ভাল লাগে। বেণীর ভাজে ভাজে গোলাপ লাগিয়ে দিলে আপনি হয়ে উঠবেন সবার থেকে আলাদা। আর দিনভর সৌরভও ঘিরে থাকবে আপনাকে। গাজরা দিয়ে বেণী পেঁচিয়ে দেয়া তো আমাদের বাঙালি নারীর সেই পুরনো অভ্যাস। যাদের চুল ছোট তারা কিন্তু চুল খুলে একপাশে আপনার পছন্দের ফুল লাগিয়ে রাখতে পারবেন সারাদিন। এছাড়াও বৈশাখের উৎসবে নারীদের চুলে গাজরা, রজনীগন্ধা বা বেলি ফুলের মালা, রজনীগন্ধা আর গোলাপের মিশ্রণে গাঁথা মালা আর জিপসি আর ছোট গোলাপ দিয়ে বানানো চক্রাকার মাথার বেষ্টনী বেশি শোভা পায়। একটু ভিন্নতা আনতে আপনি কিন্তু আপনার লাল শাড়িটির সাথে আপনার মাথায় গুঁজে দিতে পারেন শিমুল, কৃষ্ণচূড়া বা পলাশ ফুল।

আপনার ছোট মেয়েটিকে কিন্তু এই ফুলের বৈশাখী সাজ থেকে বঞ্চিত করবেন না কোনোভাবেই। চুল লম্বা হলে খোঁপা বেধে বা বেণী করে বেলি ফুলের মালা জড়িয়ে দিন। এটি হালকা, তাই ওর জন্য ভারি লাগবে না। বাচ্চাদের ফুলের সাজে মনে রাখবেন ফুল যেন তার জন্য ভারি হয়ে না ওঠে। ফুল বেশি হলে সে বইতে পারবে না, এলোমেলো করতে চাইবে যা আপনার ও তার দুজনের জন্যই অস্বস্তিকর। তবে হ্যাঁ, আরেকটি বিষয়-অনেক বাচ্চার কিন্তু ফুলের রেনুতে অ্যালার্জি থাকে। আপনার বাচ্চার অ্যালার্জি আছে কিনা খেয়াল করবেন। বাচ্চা ছেলে কিংবা মেয়ে যাই হোক, হাতে কিন্তু সুন্দর একটি বেলি ফুলের মালা পেঁচিয়ে রাখতে পারেন।

বৈশাখের দিন ফুল কেনা বেশ কষ্টসাধ্য, আবার দামও অনেক বেশি থাকে। তাই পরিবারের সবার সুবিধার জন্য আগের দিন রাতে পছন্দনীয় ফুল কিনতে পারেন। গোলাপ, রজনীগন্ধা ডাটাসহ কিনে ডালটি একটু চিনির পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন সারা রাত। দেখবেন অনেক বেশি সতেজ থাকবে। আর মালা বা গাজরা পলিথিনে ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন। ভালো থাকবে। সকালে খোঁপায় বা বেণীতে অথবা আপনার ঝলমলে মসৃণ চুলে সাজান ফুলের ডালা। বেরিয়ে পড়ুন সবাইকে নিয়ে। হোক না সে মা-বাবা, ভাই, বোন, বন্ধু, মনের মানুষ বা অন্য কেউ।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ