কেন করবেন ফেশিয়াল ম্যাসাজ
নিয়মিত ফেশিয়াল ম্যাসাজে মুখের ফাইন লাইনস, রিঙ্কেলস, ডার্ক স্পট ও পিগমেন্টেশন কমায়। এছাড়া রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি এবং ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মুখের পেশি দৃঢ় ও যৌবনোচ্ছ্বল রাখতে নিয়মিত ফেশিয়াল ম্যাসাজ করা ভালো। অ্যাংজাইটি বা স্ট্রেস কমাতেও এটা কার্যকরী। এর বাইরেও ফেশিয়াল ম্যাসাজের একাধিক উপকারিতা রয়েছে। আর তাই তো রূপ বিশেষজ্ঞরা ফেশিয়াল ম্যাসাজে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে
ফেশিয়াল ম্যাসাজে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ত্বকের গভীরে পুষ্টি জোগায়। একই সঙ্গে লিম্ফ্যাটিক তরল ত্বকে ছড়িয়ে পড়ে। ত্বকের নানা দূষণ দূর করতে এর ভূমিকা ব্যাপক।পেশি টোনড রাখে
বয়স বাড়লে মুখের পেশির টানটান ভাব এমনিই কমে আসে। মুখের আকার শার্প দেখাতে মাসে অন্তত দুবার ফেস ম্যাসাজ করুন।
ত্বক মেরামত
ত্বকে নতুন কোষ তৈরি, টিস্যু মেরামত এবং ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে কোলাজেন। আর এই কোলাজেন বৃদ্ধিতে ফেশিয়াল ম্যাসাজের ভূমিকা অনেক। নিয়মিত এই পরিচর্যায় ত্বকের যে কোনো ক্ষত নিরাময় হয়। বলিরেখা, অ্যাকনে ও পোরসের সমস্যা দূর করতেও কার্যকরী ফেশিয়াল ম্যাসাজ।
সাইনাসের সমস্যা রোধে
নাকের চারপাশের নির্দিষ্ট অংশ এবং প্রেশার পয়েন্টে ম্যাসাজে সাইনাস থেকে হওয়া মিউকাস বিল্ড-আপ কমে এবং আরামবোধ হয়। অল্পতেই তৎক্ষণাৎ ফল পাওয়া যায়।
কোন ত্বকে কোন তেল?
আমন্ড তেল
ভিটামিন ই-তে সমৃদ্ধ এই তেল শুষ্ক ত্বকের পক্ষে ভীষণ ভালো।
নারকেল তেল
ভিটামিন ই-তে ভরপুর, স্বাভাবিক ত্বকের পক্ষে ভালো।
টি-ট্রি অয়েল
তৈলাক্ত এবং অ্যাকনে-প্রবণ ত্বকের পক্ষে উপযুক্ত।
সঠিক তেল ও ম্যাসাজ ফেশিয়াল ম্যাসাজের মূল কথা। দিন-রাত যে কোনো সময়ই এই ম্যাসাজ করা যায়। চাইলে নিত্য-ব্যবহারের ক্রিম ব্যবহার করেও ম্যাসাজ করা যায়। নিয়ম করে মাত্র ৫-১০ মিনিট সময় দিলেই ত্বক তরতাজা এবং লাবণ্যে ভরে উঠবে।