আফগান-নারীর উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা: পুরুষ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
আফগানিস্তানের নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে একের পর এক নারীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। নারী শিক্ষায় তাদের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে গত দুই দশকে দেশটির নারী শিক্ষার চিত্র উঠে এসেছে জাতিসংঘের এক টুইট বার্তায়। টুইটে জাতিসংঘ বলছে, গেলো দুই দশকে শিক্ষায় দেশটির নারীদের আগ্রহ বেশ নাটকীয়তার সঙ্গে বাড়ছিল। কিন্তু নতুন সরকারের নারী শিক্ষাবিরোধী নীতির ফলে তা এবছর শূন্যের কোঠায় নেমেছে।
ক্ষমতায় আসার পর নারীদের অধিকার ও স্বাধীনতা হরণ করতে তালেবানদের সর্বশেষ পদক্ষেপ ছিল নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিষিদ্ধকরণ। তাদের এমন সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে,পাকিস্তান ও কাতার নারীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) তালেবানদের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করা ইসলামিক বা মানবিক নয়। আমরা মনে করি না এই সিদ্ধান্ত সঠিক। তালেবানরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে।’
গত বছর ক্ষমতা দখলের পর থেকে তালেবানরা ব্যাপকভাবে কঠোর ইসলামিক আইন প্রয়োগ করেছে। তারা মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষাও নিষিদ্ধ করেছিল। বিধিনিষেধের কারণে আফগান নারীরা কাজ করতে পারছেন না।
এছাড়া, নারীদের ঘরের বাইরে বোরকা পরতে বলা হয়েছে। তাদের পার্ক ও জিম থেকেও নিষিদ্ধ করা হয়। নারীদের কোনো পুরুষ আত্মীয় ছাড়া দীর্ঘ ভ্রমণে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অনন্যা/এআই