চীনের প্রথম নারী মহাকাশচারী
মহাকাশ! বিশালাকার এই কালো স্থানটিকে ঘিরে কত রহস্য এখনো লুকিয়ে আছে। মানুষের জানার আগ্রহের কমতি নেই বিশদ শূন্য স্থানটিকে ঘিরে। বিভিন্ন সময়ে মানুষ রহস্যের উন্মোচন এবং নতুন গবেষণার খাতিরে পাড়ি দেয় অদ্ভুত সুন্দরের মাঝে। প্রায় কয়েক দশক ধরে চীনে মহাকাশ গবেষণা চলমান থাকলেও এখন অবধি কোন নারী মহাকাশচারীকে ভ্রমণে দেখা যায় নি। তবে সে শিকল ভেঙে এই প্রথম চীনের মহাকাশ সংস্থা মহাকাশে নারী নভোচারী প্রেরণ করতে যাচ্ছে।
মহাকাশ গবেষণা ও অভিযান শুরু করার ২১ বছরের মাথায় প্রথম নারী মহাকাশচারী পাঠাচ্ছে চীন। তিনি হবেন তিন মহাকাশচারীর অন্যতম। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাতেই তাদের যাত্রা হয় মহাকাশের উদ্দেশ্যে। তারা সবাই পৃথিবীর কক্ষপথে চীন যে বিশাল মহাকাশ স্টেশন বানাচ্ছে সেখানে যাবেন। কয়েক সপ্তাহ আগে সেই নির্মীয়মাণ মহাকাশ স্টেশনে প্রথম মহাকাশচারী পাঠিয়েছিল চীন।
চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে," শুক্রবার রাতে তিন মহাকাশচারীকে নিয়ে উৎক্ষেপণ করা হবে ‘লং মার্চ-২এফ’ রকেট। তারপর ‘শেংঝৌ-১৩’ মহাকাশযান তাদের নিয়ে যাবে পৃথিবীর কক্ষপথে নির্মীয়মাণ চীনা মহাকাশ স্টেশনে"।
উত্তর-পশ্চিম চীনের গোবি মরুভূমি লাগোয়া শিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকেই করা হবে ‘লং মার্চ-২এফ’ রকেটের উৎক্ষেপণ।‘চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সি জানায়, যে তিন জন মহাকাশচারীকে এবার পাঠানো হচ্ছে নির্মীয়মাণ মহাকাশ স্টেশনে তার মধ্যে রয়েছেন এক জন নারী। তিনি হলেন ওয়াং ইয়াপিং। তার বয়স ৪১ বছর। তিনিই চীনের প্রথম মহিলা মহাকাশচারী। তার সঙ্গী হচ্ছেন আর যে দুই জন মহাকাশচারী তাদের নাম ঝাই ঝিগাং ও ইয়ে গুয়াংফু।
একটু একটু করে বদলে যাচ্ছে সমাজ এবং তার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে নারীদের বিরাট অংশগ্রহণ। যেখানে সমাজে একটু ছোট করার জন্য বলা হতো"ইশ বাসে উঠলেই তো বমি করে দিবে" আজ সেখানে এতো হাই অলটিটিউডেও অচেতন হচ্ছে না দুঃসাহসী নারীরা। জীবন যেখানে যেমন নারীদের পদচারণা ঠিক তেমনই।