Skip to content

তিউনিসিয়ার ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী

তিউনিসিয়ার ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী

আরব বসন্ত শুরু হয়েছিল যে রাষ্ট্রটিকে কেন্দ্র করে সেই রাষ্ট্রটির ইতিহাস শুরু থেকেই সমৃদ্ধ। আফ্রিকান কন্টিনেন্ট এর দেশটি উপনিবেশিক সময়ে শাসিত হয়েছে বিভিন্ন প্রভাবশালী রাষ্ট্রের দ্বারা।তবে রাষ্ট্রটির শাসকের ভূমিকায় এক নতুন মাত্রা যুক্ত হতে যাচ্ছে।

 

তিউনিসিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রকৌশলী নাজলা বাউডেন রোমধান নাম ঘোষণা করেছেন।

 

নাজলা বাউডেন রোমাধান এর আগে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে কাজ করেছেন। দুই মাস আগে বিক্ষোভের মুখে পড়ে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিচাম মেচিচিকে বরখাস্ত করে সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ। গত সপ্তাহে তিনি নতুন ডিক্রি জারি করেছেন। এতে তার ক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়। বলা হয়, দেশ পরিচালনায় নিরংকুশ ক্ষমতা পাবেন কায়েস সাঈদ। এ পদক্ষেপকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।

 

রোমাধান এমন এক সময় তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন যখন দেশটিতে নানাবিধ সংকট বিদ্যমান। বিপ্লবের মাধ্যমে ২০১১ সালে তিউনিসিয়ায় গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকট চলছে দেশটিতে।

 

রাষ্ট্রটিকে কিভাবে সাজিয়ে নিবে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী  এবং কিভাবে তার দায়িত্বর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিবে সেটাই দেখার বিষয়। তবে নারীরা বিভিন্ন  মঞ্চে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ দিয়ে আসছে।তরুণ উদ্যমী এই প্রধানমন্ত্রী আস্থা এবং সফলতার সাথে তার কাজ সম্পাদন করবে এমনটাই আশা সকল তিউনিশদের।