Skip to content

৫ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নীরব ঘাতক স্থূলতা

সুস্থ স্বাভাবিক জীবন সকলের কাম্য। কিন্তু স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় স্থূলতা একটি নীরব ঘাতক। শরীরে যখন অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বি জমে যায় তখন সেই অবস্থাকে স্থূলতা হবে।

সুস্থ ও সুন্দর জীবনের লক্ষ্যে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ও ক্যালরি যুক্ত খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক ২ হাজার ক্যালোরি খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। কিন্তু একজন ব্যক্তি যখন তার প্রয়োজনের তুলনার অধিক খাবার গ্রহণ করে তখন তার মধ্যে বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন বয়সের লোক স্থূলতা সমস্যায় ভুগে থাকেন।

নানা কারণে একজন ব্যক্তির মাঝে স্থূলতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া, পরিশ্রমের কাজ না  করা, প্রয়োজনের তুলনায় পুষ্টিকর খাবারের পরিবর্তে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়া, বংশগত বা হরমোন-জনিত কারণে এবং মানসিক সমস্যার কারনেও অনেক সময় একজন মানুষ স্থূলতার সমস্যায় ভুগে থাকেন। 

‘বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই’ এর মাধ্যমে স্থূলতা মাপা হয়। একজন ব্যক্তির ওজনকে কেজিতে এবং উচ্চতাকে মিটারে নিয়ে উচ্চতার বর্গ দ্বারা ওজনকে ভাগ করলেই ঐ ব্যক্তির বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই পাওয়া যায়। কারো বিএমআই ১৮.৫ এর নিচে হলে তাকে আন্ডারওয়েট বা কম ওজন বলা হয়। আর ১৮.৫-২৪.৯ বিএমআইকে স্বাভাবিক ওজন বলা হয়। অন্য দিকে ২৫.০-২৯.৯ বিএমআইকে ওভারওয়েট বা অতিরিক্ত ওজন এবং ৩০.০ বা তার চেয়ে বেশি বিএমআইকে অতি স্থূলকায় বা অতিরিক্ত মোটা বলা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী , গত দুই দশকে বিশ্বে স্থূলতা বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। আমাদের দেশে গ্রামের শিশুদের তুলনায় শহরের শিশুরা এই সমস্যায় বেশি ভুগে। কারণ গ্রামের বাচ্চারা খেলার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পেলেও শহরের বাচ্চারা সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত।  তাই তারা এধরণের শারীরিক সমস্যায় অনেক বেশি আক্রান্ত।

স্থূলতার কারণে নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। উচ্চ-রক্তচাপ, হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস,স্ট্রোক,অথেরোসে্ক্লরোসিস,পালমুনারিসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও মেয়েদের প্রজননের সময়ও নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ