Skip to content

ইফতারের স্বাস্থ্যকর পানীয়

ইফতারের স্বাস্থ্যকর পানীয়

রমজান মাসে দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। তাই ইফতারে এমন পানীয় রাখা উচিৎ যা শরীরকে দ্রুত হাইড্রেটেড করতে পারে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। তবে অনেকেই ইফতারে মিষ্টিজাতীয় বা কেমিক্যালযুক্ত পানীয় পান করেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যসম্মত পানীয় বেছে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশুদ্ধ পানি
ইফতারের শুরুতে প্রথমেই পান করতে হবে সাধারণ পানি। এটি শরীরকে দ্রুত হাইড্রেট করে এবং পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই শরীরের সুস্থতার জন্য ইফতারে অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিৎ।

ডাবের পানি
ডাবের পানি প্রাকৃতিক মিনারেলসমৃদ্ধ একটি পানীয় যা শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করে। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে শরীর থেকে যে লবণ-পানি বের হয়ে যায়। ডাবের পানি এই ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।

লেবু পানি
লেবুর শরবত শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায় এবং ভিটামিন সি-এর অভাব পূরণ করে। লেবু পানির সঙ্গে এক চিমটি লবণ যোগ করলে এটি ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স করতে সাহায্য করবে। তবে এতে চিনি না দেওয়াই ভালো কারণ চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

তেঁতুলের শরবত
যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের সমস্যা আছে, তাদের জন্য তেঁতুলের শরবত বেশ উপকারী। এটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীরকে সতেজ রাখে।

ফলের রস
বাজারের প্যাকেটজাত জুসের পরিবর্তে বাসায় তৈরি ফলের রস পান করা উত্তম। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল থাকে যা শরীরকে চাঙ্গা করে। সঙ্গে ইসবগুল, তোকমা বা চিয়া সিড মিশিয়ে নিলে পানীয়টি আরও স্বাস্থ্যকর হবে।

লাচ্ছি ও লাবাং
টক দই দিয়ে তৈরি লাচ্ছি ও লাবাং প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ পানীয়। এটি হজমপ্রক্রিয়া উন্নত করে এবং শরীরের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া সরবরাহ করে।

গাজরের জুস
গাজরের জুস ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ যা চোখ ও ত্বকের জন্য ভালো। বিশেষ করে বাচ্চা ও বয়স্কদের জন্য এটি একটি পুষ্টিকর পানীয়।

আখের গুড়ের শরবত
পানির সঙ্গে আখের গুড় ও সামান্য লবণ মিশিয়ে তৈরি করা শরবত শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স রক্ষা করে এবং শক্তি যোগায়।

বেলের শরবত
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা ইফতারে বেলের শরবত পান করতে পারেন। এটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে।

পুষ্টিকর শেক
দুধের সঙ্গে খেজুর, বাদাম, পেঁপে বা অন্যান্য ফল মিশিয়ে শেক তৈরি করা যায়। এটি পুষ্টি জোগায় এবং রোজার পর শরীরকে দ্রুত শক্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

ইফতারের পানীয়তে অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার করা ঠিক নয়। প্রয়োজনে গুড়, মধু বা খেজুরের গুঁড়ো ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া কোল্ড ড্রিঙ্কস, কৃত্রিম ফ্লেভারের শরবত ও অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় পানীয় পরিহার করাই ভালো।

স্বাস্থ্যকর পানীয় গ্রহণের মাধ্যমে ইফতারকে পুষ্টিকর ও উপকারী করা সম্ভব। তাই সচেতন হয়ে পানীয় নির্বাচন করুন এবং সুস্থ থাকুন।