ঘর সাজবে দুই ধারার আসবাবে
আমাদের নিত্যদিনের প্রয়োজনে কিংবা ঘর সজ্জার জন্য কখনো কখনো নতুন কিছু আসবাবের দরকার হয়। তবে একটি আসবাবের জন্য নিশ্চয়ই ঘরের সব পুরনো আসবাব পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এই বিষয়টা যেমন ব্যয়বহুল হবে তেমনি বিলাসবহুল হবে।
পুরনোর সঙ্গে নতুনকে যেভাবে নতুন রূপ দেওয়া যায় এবং আকর্ষণীয় করা যায়, ঠিক সেভাবেই রূপ দিতে হবে; কখনোই নতুনের জন্য পুরনোকে ফেলে দেওয়া যাবে না। আর কোনো জিনিসের গায়ে কখনো পুরনো বা নতুন কিছুই লেখা থাকে না।
তাই ঘর সাজবে এবার দুই ধারার আসবাব দিয়ে। পুরনো দিনের আসবাব বেশ ভারী কাজ সম্পন্ন হয় আর বর্তমান সময়ের আসবাব খুবই হালকা এবং ট্রেন্ডি ক্যাটাগরিতে হয় তবে এই দুইটার মিশালে যদি ঘর সাজানো যায়, তবে দেখতে কিন্তু মন্দ হবে না। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন সৃজনশীল পরিকল্পনা।
আসবাব রাখার আগে ঠিক করতে হবে কোন দিকে কোন আসবাব থাকবে। একসঙ্গে দুই ধরনের আসবাব মিশিয়ে রাখলে ঘরকে জঙ্গল মনে হবে। দুই ধরনের আসবাব এক ঘরে রাখলে পুরনো আসবাব এক কোনায় রাখা ভালো। এতে তা খুব বেশি চোখে লাগবে না। পুরনো আসবাবের বদলে বরং নতুন আসবাবের ওপর কৃত্রিম আলো ব্যবহার করতে পারেন। পুরনো আসবাবে হ্যান্ড পেইন্টও করতে পারেন। আর জানালাতে একটু নান্দনিক ডিজাইনের পর্দা লাগালে ঘরে তিন ধরনের ফিউশন তৈরি হয়ে ঘরকে বেশ অন্যরকম রূপ দেবে।
ফোম, রঙিন কাপড় দিয়ে আধুনিক আসবাবে ঘর সাজাতে চাইলে পুরোনো আসবাবেও কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে। পুরনো চেয়ার, সোফার হাতল ও পায়ায় ফোমের ওপর রঙিন রঙ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফুল লতা পাতা ডিজাইন করা যায়।
সোফা তার সাথে ডিভান। সোফা বেশ পুরনো একটা আসবাব ঘরের। তবে বর্তমান সময়ে ডিভান একটা শখের আসবাব হয়ে উঠেছে। তাই সোফার সঙ্গে ডিভান রাখতে হলে কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সোফার পাশে ডিবান না রেখে সোফার বিপরীত পাশে ডিভান রাখতে হবে। সোফার কভার এবং ডিভানের কভার দুটোই যেন এক ধরনের ক্যাটাগরি এবং কনট্রাস্ট কালার হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
পুরনো আসবাবের সঙ্গে নতুন আসবাব সংযোজন করার জন্য ডিজাইনগুলো মাথায় রাখে কিনতে হবে। দুটো আসবাবের রং আকার আকৃতি এই বিষয়গুলো একটু বিবেচনা করে কিনতে হবে। এছাড়া, পণ্যের গুণগত মান এবং দাম যাচাই করে কিনতে হবে।