পৃথিবী মাতানো কন্ঠশিল্পীর জন্মদিন আজ
শৈশবের শুরু নাচ দিয়ে, কিন্তু তিনি হয়ে উঠলেন পৃথিবীর গায়িকা। একে একে গান গাইলেন এবং বাজিমাত রাখলেন ১৮টি ভাষায় গান গেয়ে। আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) এই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গায়িকার ৬৮তম জন্মদিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে সিলেটে তার জন্ম। তিনি আর কেউ নন, উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা।
এবার তারই সুর করা আরো চারটি গান প্রকাশিত হবে। আজ জন্মদিনের প্রথম দিন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা লুইপার গাওয়া ‘এই দেখা শেষ দেখা’ প্রকাশিত হয়েছে। এরপর আগামী তিন সপ্তাহে আঁখি আলমগীর, তানি লায়লা, হৈমন্তীর কণ্ঠে আরও তিনটি গান প্রকাশিত হবে।
রুনা লায়লার বাবার নাম এমদাদ আলী ও মায়ের নাম অনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা। সংগীতময় পরিবেশে বেড়ে ওঠেন রুনা। তার মা সংগীতশিল্পী হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। বিখ্যাত সংগীতশিল্পী সুবীর সেন রুনা লায়লার মামা। পাকিস্তানের করাচিতে বুলবুল অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে চার বছর নাচ শেখেন তিনি। মা আমিনা লায়লা মেয়েকে নাচ শেখানোর জন্য এখানে ভর্তি করেন।
বাংলাদেশের সিনেমায় রুনা লায়লার গাওয়া প্রথম গান গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ও সুবল দাসের সুরে ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’। লাহোরে থাকাকালেই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন তিনি। সিনেমায় প্লেব্যাক করে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ছয়বার। সিনেমাগুলো হলো—‘দ্য রেইন’ (১৯৭৬), ‘যাদুর বাঁশী’(১৯৭৭), ‘অ্যাকসিডেন্ট’(১৯৮৯), ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪), ‘তুমি আসবে বলে’ (২০১২) এবং ‘দেবদাস’ (২০১৩)।
বলিউডের বেশ কয়েকটি ছবিতে গান গেয়েছেন রুনা লায়লা। সর্বশেষ গেয়েছিলেন ১৯৯০ সালে অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘অগ্নিপথ’ ছবির ‘আলিবাবা মিল গ্যায়া চল্লিশ চোর সে’ গানটি। বলিউডে তার গাওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় গান ‘ও মেরা বাবু চেইল চেবিলা’। পাকিস্তানের ‘মান কি জিত’ (১৯৭২) ছবির এ গানটি ব্যবহার হয় বলিউডের ‘ঘর দুয়ার’ (১৯৮৫) ছবিতে।
রুনা লায়লা চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তিনি ‘শিল্পী’ নামক বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে মূল চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা পান তিনি। এখানে তার নায়ক ছিলেন তারই স্বামী অভিনেতা আলমগীর। এছাড়াও সম্মানিত হয়েছেন স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ভারতের সায়গল পুরস্কার, দাদ সাহেব ফালকে সম্মাননা ও পাকিস্তানের নিগার পুরস্কারে।