ক্লান্তি কমাতে উপকারী কিছু খাবার
ব্যস্ত নগরীতে রোজ ছুটে চলা ছোটখাটো কোনো যুদ্ধের চেয়ে কম নয়। এর ওপর আবার এই তীব্র গরম। সারাদিন কাজ শেষে ক্লান্তি যেন ঘিরে ধরে চারপাশ থেকে। এই ক্লান্তি ভাব নিয়মিত হতে থাকলে তা শরীরের ওপর খুবই নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে৷ এক্ষেত্রে আপনার খাবারের তালিকায় সংযোজন করতে পারেন, এমন কিছু খাবার যা ক্লান্তিভাব দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
কলা: ক্লান্তি দূর করতে কলার কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। কলা রক্তে লোহিত কণিকার মাত্রা বাড়ায়। কলা খাওয়া মানেই শরীরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়ামের এন্ট্রি। আর দেহে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়তে থাকলে স্বাভাবিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতাও বাড়বে।
ডিম: ডিমে আছে যেকোনো খাদ্যের তুলনায় সবচেয়ে পরিপূর্ণ রূপের আমিষ। ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় এমাইনো এসিড। একটি ডিমে ৭০ ক্যালরি ও ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এছাড়া ডিম আপনার হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করে। তাই সেদ্ধ করে বা ভেজে যেভাবেই খান না কেন ক্লান্তি দূর করতে সস্তায় উপযুক্ত খাদ্য ডিম।
কফি: শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সকালে এক কাপ কফি কাজ করে ম্যাজিকের মতো। সকালে এক কাপ কফির চুমুকে শরীর হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। এটি হৃৎযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বাড়ায় এবং শরীরকে উদ্দীপ্ত রাখে। তবে কফি বেশি পান করলে রাতে নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে। তাই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করতে স্বাভাবিক মাত্রায় কফি পান করতেই পারেন।
গরুর কলিজা: শরীর ক্লান্ত অনুভবের একটি বড় কারণ হতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি১২-এর অভাব। আর সে অভাব পূরণ করতে খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন গরুর কলিজা। শুধু তাই নয়, এতে প্রচুর প্রোটিনও রয়েছে, যা দীর্ঘসময় ধরে শক্তি জোগাতে থাকে।
ডার্ক চকলেট: ডার্ক চকলেটে চিনির পরিমাণ তুলনামূলক কম থাকে। এই চকলেটের কোকোয়াতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীর ও মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে দ্রুত অক্সিজেন সরবরাহ করতে সহায়তা করে, কোষের সুরক্ষায় সহায়তা করে, রক্তচাপ কমায় ও রক্ত চলাচল বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে থিব্রোমিন । মস্তিষ্কে ভালো অনুভূতির হরমোন তৈরির মাধ্যমে এটি মনকে শিথিল করতে সাহায্য করে।