কিশোরীদের ত্বকের যত্ন
বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের অনেকটা শারীরিক পরিবর্তনে তো হয় সাথে মানসিক পরিবর্তনও শুরু হয়। এই বয়সটা খুবই চঞ্চল। খুব অস্থিরতা কাজ করে মনের ভিতর । যেমন- কোন পোশাকটা বেশি ভালো লাগবে। কোন হেয়ারস্টাইল টা বেশি মানাবে, কীভাবে নিজেকে সবচেয়ে বেশি পরিপাটি রাখা যায় সেই ভাবনার শেষ নেই।
বিভিন্ন ধনের মেকআপ ব্যবহার করা শুরু হয় এই বয়স থেকেই। সেক্ষেত্রে ত্বকে এই বয়সে দেখা দিতে পারে নানা রকম সমস্যা। যেমন—ব্রণ ওঠা, ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
মেয়েদের কিশোর বয়সে বিভিন্ন হরমোন পরিবর্তনের জন্য ত্বকের ছিদ্রগুলো ওনেক বেশি তেল নিঃসরণ করে। যার ফলে ত্বকের ছিদ্রে তেল ও ময়লা ঢুকে গিয়ে ব্ল্যাকহেডস এর সৃষ্টি হয়। তাই এই বয়সে কিছু রুটিন মেনে চলতে হবে। এতে ত্বক থাকবে ভালো এবং দাঘীন।
ত্বকের ধরণ বুঝে করতে হবে এর চর্চা। তাই একটা টিস্যুর সাহায্যে ত্বক তৈলাক্ত, না শুষ্ক না মিশ্র, তা জেনে নিতে হবে। সাধারণত যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের মুখের টি-জোন মানে কপাল, নাক ও থুতনির অংশে তেলতেলে ভাব থাকে। তাই টিস্যু ব্যবহার করেই আপনার ত্বকের ধরন জেনে নিন।
ত্বক পরিষ্কার থাকলেই অর্ধেক সমস্যা এইখানেই শেষ। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে ত্বক ক্লিন করতে হবে। সেক্ষেত্রে ভালো কোনো ক্লিনজার দিয়ে ফেস আস্তে আস্তে ঘষে ক্লিন করতে হবে।
মেকআপ নিয়ে ঘুমিয়ে যায় প্রায় অনেকেই। টিনএজরা বেশিরভাগ এমনটা করে থাকে। বিভিন্ন প্রোগ্রামের পর বাসায় এসেই ঘুমিয়ে যায়। যেটা একদম করা যাবে না। ঘুমানোর আগে অবশ্যই মেকআপ তুলে ফেলতে হবে।
ময়েশ্চারাইজ ব্যবহার করে মিনিট কয়েক মালিশ করুন। ফেইস ক্লিন করে একটা ভালো ক্লিনজার ব্যবহার করে সেটি প্রায় ৫ মিনিট মালিশ করতে হবে ত্বকে। এতে করে ত্বকের যে আর্দ্রতা আছে সেটা বজায় থাকবে।
অনেক সময় কিশোরীর ফেইসে ময়লা জমে ত্বক ব্লক হয়ে যায়। যার ফলে ত্বকে বাসা বাধে ময়লা,ধুলোবালি এবং জীবাণু। তাই ভালো মানের একটা স্ক্র্যাব ব্যবহার করতে হবে তাও ২ সপ্তাহে একবার। সেক্ষেত্রে চালের গুঁড়ার সাথে মধু আর শসার রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন ।এটি অনেক ভালো কাজ করবে ফেইসের ময়লা দূর করতে।
সপ্তাহে কমপক্ষে একবার ব্যবহার করতে হবে ফেইস মাস্ক। এতে ত্বক হবে টানটান এবং থাকবে সতেজ। বাজারে স্কিন ধরন অনুযায়ী পেয়ে যাবেন বিভিন্ন রকমের ফেইস মাস্ক। আর চাইলে বাসায় ও বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। হলুদ, বেসন, লেবুর রস, মধু, কাঁচা দুধ, মুলতানি মাটি, টমেটো দিয়ে একটা মাস্ক বানিয়ে নিন। সপ্তাহে ১ দিন ব্যবহার করতেই পারেন। উপকারিতা ও পাওয়া যাবেই এই মাস্কে।
সানস্কিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। এতে ফেইস থাকবে হেলদি। সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করবেই এটি। তাই বাসা থেকে বেড় হওয়ার আগে সানস্কিন ব্যবহার করতে হবে।
পান করতে হবে প্রচুর পরিমাণের পানি। রূপচর্চা করলেই হবে না, খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমান পানি ও। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি খেতে হবে। এতে ত্বক ভালো থাকবে এবং শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিবে না। তাই সকালে খালি পেটে পানি খেয়েই শুরু করুণ দিন্টা।
ত্বকে বেশি সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তার দেখাতে হবে। এক্ষেত্রে অন্য কারো থেকে পরামর্শ না নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
কিশোরীদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে। এই বয়সে বাড়তি কিছুর প্রয়োজন পরে না।তাই যত কম প্রসাধনী ফেইসে ব্যবহার করা যায় ততোই ভালো থাকবে ত্বক।