Skip to content

৮ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বুধবার | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাষী নজরুলের নায়িকারা

বাংলা চলচ্চিত্রের এক কিংবদন্তী নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম। বরাবরই তিনি ছিলেন এক মেধাবী নির্মাতা ও স্পষ্টবাদী মানুষ। তার সঙ্গে কাজ করেছেন এমন বহু কিংবদন্তী অভিনেতা ও অভিনেত্রী দেখেছে বাংলাদেশ। চলচ্চিত্র জগতে অনেকটা অভিভাবকের মতোই ছিলেন। তার নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে এক স্বতন্ত্র পরিচয়ও অর্জন করতে পেরেছিলেন অনেক নায়িকা। সেই চাষী নজরুলের নায়িকাদের নিয়েই আজকের এই আলোচনা।

কবরী ও দেবদাস

চাষী নজরুল ইসলামের অন্যতম নান্দনিক কাজ হিসেবে স্বীকৃত চলচ্চিত্র ‘দেবদাস’। এই চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে তাকে কিছুটা প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয়। শরৎবাবুর সাহিত্য থেকে এর আগেও বহু চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। নির্মাতাদের কাছে ‘দেবদাস’ উপন্যাসটির আকর্ষণও ছিল বেশ। সেখানে তিনি এতটাই চমৎকার কাজ দেখিয়েছিলেন যে এখনও এটি দেবদাস এর অন্যতম দর্শকপ্রিয় সিনেমা বলেই পরিচিত। ছবিটিতে অনন্য অভিনয়ের জন্য বুলবুল আহমেদ ‘বাংলার দেবদাস’ খ্যাতি অর্জন করেন। কিন্তু দর্শকদের মূল আকর্ষণ ছিলো পারুকে ঘিরে। সেই পারুর চরিত্রে কি চমৎকারভাবে মানিয়ে নিয়েছিলেন করবী।

আনোয়ারা ও শুভদা

চাষী নজরুল ইসলাম শরৎ থেকে আরেকটি গল্প নিয়েছিলেন। সেটি হলো ‘শুভদা’। ১৯৮৬ সালে নির্মিত এই চলচ্চিত্র ১৩ টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পায়। ওই সময়ের হিসেবে সেটি এক বিরল রেকর্ড। এই চলচ্চিত্রে অনেক খ্যাতিমান অভিনেতার পাশাপাশি অভিনয় করেছেন আনোয়ারা। অনেকে বলেন আনোয়ারা তার অভিনয় জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিনয় করেছেন এই চলচ্চিত্রে।

সুচরিতা ও হাঙর নদী গ্রেনেড

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের হাঙর নদী গ্রেনেড নিয়ে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা ভেবেছিলেন। তা আর হয়ে ওঠেনি। এই ছবিটি পরবর্তীতে আরও কয়েকজন গুণী নির্মাতা তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। অবশেষে সেই কাজটি সম্পন্ন করেন চাষী নজরুল ইসলাম। পুরো চলচ্চিত্রের মূল আকর্ষণ ছিল সুচরিতার অসামান্য অভিনয়। মায়ের ভূমিকায় তিনি যে রূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন তা আজও দর্শকদের মনে আলোড়ন জাগাতে সক্ষম।

অনন্যা/এআই

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ