জাতিসংঘের এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার পেলেন প্রধানমন্ত্রী
এ সরকার গঠনের পর থেকে দেশে এক ভিন্নমাত্রা যুক্ত হয়েছে। দৃশ্যমান কিংবা অদৃশ্যমান কত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এই নারীর হাত ধরে তার সঠিক পরিমাপ করাটা কষ্টসাধ্য। নিরলস পরিশ্রম, কাজের প্রতি ভালোবাসা, সুদূর পরিসারী চিন্তা ভাবনার কারণে তিনি অনন্য। জীবনে বিভিন্ন সংকটময় পরিবেশ কাটিয়ে ওঠা এই নারী স্বপ্ন দেখতেন এক নতুন বাংলাদেশ তৈরি করার।
তার কৃতিত্বের শেষ নেই এবং যা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের কোণে কোণে। সম্প্রতি কাজের মাধ্যমে নিজের ঝুলিতে যুক্ত করলো আরো একটি সম্মাননা। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরিকরণ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সার্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ প্রদান করেছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ পুরস্কার গ্রহণ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশের জনগণকে এটি উৎসর্গ করছেন।’
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন কৌশলবিদ অধ্যাপক জেফ্রি ডি. সচ’র নেতৃত্বে জাতিসংঘ মহাসচিবের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১২ সালে এসডিএসএন প্রতিষ্ঠা করা হয়।
টেকসই উন্নয়নের জন্য বাস্তব ভিত্তিক সমাধান জোরদারে বিশ্বের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানোই এ প্লাটফর্মের লক্ষ্য। অনুষ্ঠানে দেশের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে তাকে ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ হিসেবে সম্বোধন করেছে আর্থ ইন্সটিটিউট, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অফ ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক।
২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন নিয়ে নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানানোর সময় ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ হিসেবে সম্বোধন করা হয়। সম্মেলনে অংশ নেয়ায় এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ জেফ্রি স্যাক্স।
জেফ্রি স্যাক্স বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার সঙ্গে একসাথে হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা আপনার কথা শুনতে চাই, বিশেষ করে এই জন্যে যে, আমরা যখন পৃথিবীর দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের অগ্রগতি বিশ্লেষণ করি, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অগ্রগতিতে বিশ্বে প্রথম হয়েছে। তাই আমরা সেই অর্জনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই।”
সময়ের স্রোতে দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখছে বাংলাদেশের সকল স্তরের জনগণ। পাহাড়-সম এই উন্নয়নমূলক কাজগুলো এতোটাও সহজ ছিল না বাংলাদেশের মত একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের পক্ষে। তবে সে সকল স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য অকাতর পরিশ্রম করে যাচ্ছে এই মহীয়সী নারী।