আফগানিস্তানে গানের নিষেধাজ্ঞা
তালেবান সরকার শাসনে আসার পর থেকে তারা নতুন পরিকল্পনা নিয়ে তাদের দেশ সাজাচ্ছে।দেখা যাচ্ছে তাদের পরিকল্পনায় অনেক নতুন চমক থাকছে।তবে এবার একটি ভিন্ন পরিকল্পনার দিকে আগালো আফগানিস্তান সরকার।
আফগানিস্তানে ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত তালেবান শাসনে সংগীত, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল। আইন অমান্যকারীদের ভয়াবহ শাস্তির মুখে পড়তে হত। এরপর তালেবান শাসনের অবসান ঘটলে দেশটিতে ব্যাপক হারে সংগীত চর্চার প্রসার ঘটে। গড়ে উঠে জাতীয় সংগীত প্রতিষ্ঠানও। পুরুষদের পাশাপাশি ব্যাপক হারে নারীরাও অংশ নিতে থাকেন সংগীতে।এরপর তালেবান সরকারের পতন হয়।
তবে বেশিরভাগ নাগরিকই মনে করছেন তালেবানের কট্টর শাসনের মুখে চ্যালেঞ্জে পড়ে যাবে দেশটির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা৷
শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনের লোকেরাও আছেন আতঙ্কে। সেই আতঙ্কের মধ্যেই ঘোষণা এলো আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে গান বাজনা। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন,'তালেবানদের শাসন চলাকালীন আফগানিস্তানে সংগীতের অনুমোদন থাকবে না। ইসলামে সংগীত নিষিদ্ধ। আমরাও চাই না। আমরা চাই জোর করে কিছু চাপানোর আগেই মানুষ নিজেরাই সংগীত এড়িয়ে চলতে শুরু করবে'।
সরকার ব্যবস্থাপনায় ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ পরিবর্তন তারা নিয়ে এসেছে। পাঞ্চশির উপত্যকায় তারা শান্তি চুক্তি স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।আফগানিস্তানে এমন পরিবর্তন আনার কারণে শিল্পপ্রেমী লোকেদের মাঝে বিরূপ প্রভাব দেখা যাবে বলে আশংকা বিভিন্ন শিল্প গোষ্ঠীর।
সরকারের পরিকল্পনায় তাদের আদর্শ থাকবে এটা এর আগেও বহুবার দেখেছে পৃথিবীর মানুষেরা।আফগানিস্তান সরকার ও তাদের আদর্শ এর পথে হাঁটছে তবে দেখার বিষয় এই চলার পথে তারা সংকট কতটা নিরসন করতে পারে! নড়বড়ে সরকার থেকে একটি শক্তিশালী সরকার কি গঠন হবে নাকি কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাবে?