Skip to content

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | সোমবার | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর্মজীবী নারীদের ঘরে থাকার নির্দেশ তালেবানের

সম্প্রতি তালেবানরা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলসহ পুরো দেশ তাদের দখলে নিয়ে নেয়। আফগানিস্তান তালেবানদের দখলে যাবার পর সবচেয়ে চিন্তার বিষয় ছিল নারী স্বাধীনতা। কারণ এর পূর্বে আমরা দেখেছি তালেবানি শাসনে সবচেয়ে বৈষম্যতার শিকার হয়েছে নারীরা। 

 

২০০১ সালের আগে তালেবান, যখন আফগানিস্তান শাসন করতো, তখন তারা কঠোর শরীয়া আইন জারি করেছিল। সে সময় নারীদের পার করতে হয়েছে এক দুর্বিসহ জীবন। পড়ালেখার কোন সুযোগ ছিল না। ছিলোনা ইচ্ছামতো চলাফেরার সুযোগ। কোনো পুরুষ সঙ্গী ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া ছিল একেবারে নিষিদ্ধ। তবে এখন আফগানিস্তানে পুনরায় তালেবানি শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় আবারো নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে আশংকায় ছিল বিশেষজ্ঞরা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। 

 

আশংকার ব্যতিক্রম হয়নি আফগানিস্তানে নারীদের অবস্থা। সম্প্রতি আফগানিস্তানে কর্মজীবী নারীদের ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে তালেবান। তাদের নিরাপত্তার জন্য পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

 

আফগান নারীদের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, যে কোনও ধরণের বিধিনিষেধ স্বল্পস্থায়ী হবে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকেরই প্রশিক্ষণ নেই কিভাবে নারীদের সাথে আচরণ করতে হয় বা তাদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয়। পূর্ণ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা নারীদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিচ্ছি।

 

জাতিসংঘ তালেবানদের দ্বারা নির্যাতনের "নির্ভরযোগ্য" কিছু প্রতিবেদন তুলে ধরেছে যার মধ্যে নারীদের উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অন্যতম। তবে, ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে তালেবান বেশ সংযত আচরণ করছে এবং তারা নারী ও মেয়েদের অধিকার এবং বাক-স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। 

 

তালেবানি সহিংসতা থেকে বাঁচতে দেশ থেকে অনেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, উজবেকস্তানসহ অন্যান্য দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। ব্রিটিশ নাগরিক, অন্যান্য বিদেশি নাগরিক এবং বিদেশে পুনর্বাসনের যোগ্য আফগানসহ হাজার হাজার মানুষ এখনও আফগানিস্তান ত্যাগের অপেক্ষায় রয়েছে।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ