পুষ্টিগুণে ভরপুর আনারসের উপকারিতা
সময় টা এখন সিজন পরিবর্তনের তাই নানান ধরনের অসুখ বিসুখ লেগেই রয়েছে সকলের। হয়তো ঠাণ্ডা লেগেছে নয়তো জ্বর হয়েছে। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি খেতে হবে নানান রকম ফলমূল। ফলের মধ্যে আনারস এর উপকারিতা ব্যাপক। আজ না হয় আনারসেরই কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জানি।
আনারস ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি ফল। আনারসে রয়েছে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড যা শরীরে ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করে এবং সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধে খুবই প্রয়োজন।
জ্বর- ঠাণ্ডা সারাতে আনারস খুবই উপকারী। এছাড়া আনারস ক্ষত সাড়তে সাহায্য করে, পেশির ব্যথা,হজম শক্তি বাড়ানো, হার্ট ভালো রাখে এবং রক্ত জমাট বাধতে দেয় না।
আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, অ্যান্টিঅক্সইডেন্ট যা ত্বকের ডেডসেল দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়, এন্টিএজিংয়ের কাজ করে এবং ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে ইলাস্টিসিটি ধরে রাখে।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ভাইরাস জনিত ঠাণ্ডা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে। জ্বর ও জন্ডিসের প্রকোপ কমাতেও আনারস বেশ উপকারী। আনারসের রস নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ব্যথা এবং ব্রংকাইটিস এর বিকল্প ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
আনারসে থাকা ব্রোমোলিন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। অ্যাসপিরিনের বিকল্প হিসেবেও কাজ করে আনারস।
আনারসে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ দাঁত ও হাড় কে মজবুত করে এবং মাড়ির সমস্যা ও দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয়।
আনারসে থাকা বিটা ক্যারোটিন চোখের রেটিনাকে ভালো রাখে। এছাড়াও দেহের কোষের ওপর ফ্রি-রেডিকেলের বিরূপ প্রভাবে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে যা আনারস প্রতিরোধ করতে পারে।
আনারস পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, থিয়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি-৬, ফোলেট, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটা ক্যারোটিন। অপরিহার্য এই উপাদান গুলো দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করে।