শীতকালীন ঠাণ্ডা-কাশি সারাতে তুলসি পাতা
আমাদের দেশে এখন শীতকাল চলছে এমনকি গত কয়েকদিন হলো শীত জেকে বসেছে। ফলে ঠাণ্ডা, কাশি কিংবা জ্বরের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। এমতাবস্থায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ঔষধই হতে পারে আসল সমাধান। ঠিক তেমনই একটি সমাধান হলো তুলসি পাতা।
প্রাচীনকাল থেকে এই পাতাগুলো হোম রিমেডি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই তুলসি গাছ দেখতে পাওয়া যায়। সুতরাং এটি খুবই সহজলভ্য একটি প্রতিকার। তুলসির রয়েছে নানা ধরনের গুণাগুণ। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি গুণ তুলে ধরা হলো।
ঠাণ্ডা-কাশি কমাতে
প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ঠাণ্ডা, জ্বর ও কাশি সারাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তুলসি পাতা। তুলসি পাতা ও মধু একসাথে নিয়মিত কয়েকদিন খেলে ঠাণ্ডা কিংবা জ্বর সেরে যায় খুব সহজেই। আগেকার দিনে ঠাণ্ডা বা জ্বরের একমাত্র ঔষধই ছিল তুলসি পাতা কারণ এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাই।
শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে
তুলসিতে রয়েছে ইসেনশিয়ায় ওয়েল যেমন লিনোলেয়িক এসিড যা আমাদের শ্বাসতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া এই এসিড ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। ইসেনশিয়াল ওয়েল ছাড়াও এতে রয়েছে আরও কিছু উদ্বায়ী তেল যা অ্যালার্জি, ইনফেকশন ও রোগসৃষ্টিকারী জীবাণু হতে আমাদের দেহকে সুরক্ষা দেয়।
ব্রণ ও পিম্পল কমাতে
যাদের ব্রণ ও পিম্পল এর সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য দারুণ একটি টোটকা হলো তুলসি পাউডার। আপনি যদি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে তুলসি পাউডারের সাথে নিম অথবা হলুদের গুড়া মিক্স করে ব্যবহার করুন দেখবেন সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে নিমেষেই।
ক্লিনিং ও ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসেবে
তুলসি পাতা দেহের পরিষ্কারক ও ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। এতে উপস্থিত নানা ধরনের ফাইটোকেমিক্যালস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস মূলত এই ভূমিকা পালন করে থাকে।
তুলসি চা
তুলসি পাতা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারবেন। যা আপনাকে দেবে মানসিক প্রশান্তি। এছাড়া এই চা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে।
ইমিউনিটি বুস্টিংয়ে
এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি রয়েছে যা দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।
ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে
এতে উপস্থিত বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দারুণ ভূমিকা পালন করে।
তাই আপনি আপনার পরিবারকে এই শীতে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে নিয়মিত তুলসি পাতা খান সুস্থ থাকুন।