Skip to content

রোজায় গ্যাসের সমস্যা? করণীয় ও বর্জনীয়

রোজার সময় দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে অনেকের পাকস্থলিতে এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার ধরন ও খাদ্য নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ।

গ্যাস্ট্রিকের সাধারণ লক্ষণ- পেটের উপরের অংশে ব্যথা বা অস্বস্তি, বুক জ্বালাপোড়া করা, খাওয়ার আগে বা পরে পেটে ব্যথা হওয়া, ঢেকুর ওঠা বা গ্যাস জমে থাকা, বমিভাব বা খাবারে অনীহা,  অল্প খাবার খেলেও পেট ভরা লাগা।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এড়াতে রোজার সময় কী খাবেন ও কী খাবেন না তা জানা জরুরি।

ইফতারে যা খাবেন
কম তৈলাক্ত খাবার খান। পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। এগুলো হজম হতে সময় নেয় এবং এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। প্রচুর পানি পান করুন। ডাবের পানি, ইসপগুলের শরবত, লেবুর শরবত খেতে পারেন। প্রথমে সামান্য খাবার খেয়ে নামাজ আদায় করুন। তারপর প্রধান খাবার খান। এতে খাবার হজম সহজ হবে। ইফতারে শর্করা জাতীয় খাবার রাখুন। খেজুর, ছোলা, সেমাই, ফলমূল ইত্যাদি রাখুন। এটি সহজে হজম হয় ও শরীরকে শক্তি দেয়। খাবারের পর হালকা হাঁটাহাঁটি করলে পরিপাকক্রিয়া ভালো হবে এবং গ্যাসের সমস্যা কমবে।

সাহরিতে যা খাবেন
চর্বিযুক্ত ও অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার পরিহার করুন। এগুলো পাকস্থলিতে এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কাঁচা মরিচ, অতিরিক্ত ঝাল খাবার পাকস্থলির প্রদাহ বাড়ায়। তাই ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। পানি ও তরল খাবার খান। শরীর হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পানি পান করুন।
চা-কফি কম পান করুন। কারণ এগুলো এসিড ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়াতে পারে। সাহরি শেষ করার অন্তত এক ঘণ্টা পর ঘুমাতে যান এবং কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন।

গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচবেন যেভাবে
একসঙ্গে বেশি না খেয়ে ধীরে ধীরে খান। পর্যাপ্ত পানি ও হালকা খাবার খান। ঝাল ও অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটুন। যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে এবং রোজার সময় সুস্থ রাখবে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ