আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস
বিশ্বব্যাপী পরিচিত একটি রোগ হলো ডায়াবেটিস, বর্তমানে ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে ডায়াবেটিস। বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯১ সাল-এ ১৪ নভেম্বরকে ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এদিন বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক বেনটিং জন্ম নিয়েছিলেন এবং তিনি বিজ্ঞানী চার্লস বেস্টের সঙ্গে একত্রে ইনসুলিন আবিষ্কার করেছিলেন। আজ ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস।
এবারের ডায়াবেটিস দিবসের প্রতিপাদ্য হলো- ‘ডায়াবেটিস সেবা নিতে আর দেরি নয়’। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এছাড়া সমিতির বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত সমিতিগুলোও ডায়াবেটিস দিবসের কর্মসূচি পালন করবে।
একটি অনিরাময়যোগ্য রোগ হলো ডায়াবেটিস। বিশ্বে ২০১৯ সালে মানুষের মৃত্যুর নবম প্রধান কারণ ছিল ডায়াবেটিস। যার কারণে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিওএইচও এর মতে, ১৯৮০ সালে বিশ্বে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১০ কোটি আট লাখ, যা ২০১৪ সালে ৪২ কোটি ২০ লাখে পৌঁছেছে। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তের হার দিন দিন বাড়ছে।
শরীর যখন পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করে না, অথবা শরীর যখন কার্যকরভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারে না তখনই ডায়াবেটিস হয়। ইনসুলিন একটি হরমোন, যা রক্তে থাকা শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অনেক সিস্টেম, বিশেষত স্নায়ু এবং রক্তনালীগুলির গুরুতর ক্ষতি করে।
চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। বেশি পরিমাণে জাঙ্কফুড খাওয়ার ফলে শরীরে ক্যালোরি এবং ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে গেলে এই রোগ হতে পারে। এ ছাড়া জিনগত রোগের কারণেও ডায়াবেটিস হতে পারে। অতিরিক্ত ওজনও এই রোগের কারণ হতে পারে। এ ছাড়া কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ধূমপান এবং ভুল ওষুধ খাওয়াও ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে।
বর্তমানে সারাবিশ্বে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪৬ কোটি। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ২০৩০ সালে এ সংখ্যা ৫৮ কোটিতে পৌঁছাবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সচেতন ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। এ রোগের চিকিৎসায় চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন চিনির স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখা, রোগীদের যথাযথ খাওয়া এবং ব্যায়াম, যোগের মতো শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করার।