ইন্টারনেটে ফেইক আইডির হয়রানির শিকার বেশিরভাগ নারী
পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান , কর্মক্ষেত্র কোথাও নেই নারীর শতভাগ নিরাপত্তা। এমনকি ইন্টারনেটের জগতেও অনিরাপদ নারীরা। দিন দিন ইন্টারনেটের ব্যবহার যেমন বাড়ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনলাইনে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানির ঘটনা। আর এক্ষেত্রে ফেইক আইডির হয়রানির শিকার হচ্ছে বেশিরভাগ নারী।
বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ নামের ফেসবুক পেজে গত সাড়ে চার মাসে ৭ হাজার ৩৫৩ নারী অভিযোগ করেছেন। তার মধ্যে ২৯ শতাংশ অভিযোগ এই ফেইক আইডি সংক্রান্ত। প্রেমের সম্পর্ক ভাঙা বা ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জের ধরে অনেক নারীর ছবি বা নাম ব্যবহার করে ভুয়া আইডি তৈরি করে হেনস্তা করা হচ্ছে।
এছাড়াও, বিভিন্ন জের ধরে ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হচ্ছে, যৌন নিপীড়নমূলক বার্তা পাঠানো হচ্ছে। আর এসবক্ষেত্রেই বেশিরভাগ সময় পরিবার এবং সমাজের ভয়ে প্রতিবাদ না করে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে বেশিরভাগ নারীরা। কেউ সাহস করে প্রতিবাদ করলে নতুন করে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানা গেছে, গত বছরের ১৬ নভেম্বর ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ ফেসবুক পেজ চালু করা হয়। গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত মাত্র সাড়ে ৪ মাসে এই পেজে ৭ হাজার ৩৫৩টি মেসেজ, হটলাইন নম্বরে ১১ হাজার ২১৩টি ফোনকল ও ই-মেইলে ২৬৩টি অভিযোগ এসেছে। ই-মেইল ও ফোনকলে যোগাযোগ করা অনেকেই আবার ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করেছেন। ফলে তালিকাভুক্ত সেবা প্রত্যাশীর সংখ্যা ৭ হাজার ৩৫৩ জন ধরা হয়েছে।
তালিকাভুক্ত সেবা প্রত্যাশী ৭ হাজার ৩৫৩ জন এর মধ্যে ৩ হাজার ৩২৮ জনের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৩ হাজার ৬৯৪ জনের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে। বাকি ৩৩১ জনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে ইন্টারনেট সম্পর্কিত বিষয়ে পুরুষের তুলনায় নারীর জ্ঞান স্বল্প থাকার কারণে নারীরা বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছে। এছাড়াও আরেকটি বিশেষ কারণ নারীর সরল বিশ্বাস। যার কারণে সহজেই তারা যে কারো ফাঁদে পা দিয়ে দিচ্ছেন।