Skip to content

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | সোমবার | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়ন্ত্রণ রাখুন মেজাজের ওপর

অনেক মানুষ পরিস্থিতির পরিবর্তন অল্পতে মানিয়ে নিতে পারেন না। যার ফলে কারণে অকারণে তাদের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। এসময় অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।  বিভিন্ন কারণে মনের অগোচরে রাগ জন্মাতে পারে। তাই এসব ব্যাপারে আগেই থেকেই ধারণা রাখাটা জরুরি। রাগের সময় মেজাজ রাখতে হবে নিয়ন্ত্রণে। রাগ হওয়া খুব স্বাভাবিক তবে আপনি রাগের বহিঃপ্রকাশ কিভাবে করছেন সেটা ভিন্ন বিষয়। কারণ আপনার রাগ হওয়ার পেছনে থাকতে পারে নানাবিধ কারণ।

 

ব্যক্তি ভেদে রাগের পার্থক্য হয়ে থাকে। অনেকে কোনও কারণ ছাড়াই রেগে  যাচ্ছেন আবার অনেকের ক্ষেত্রে এই আবেগ নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে মানুষ ভেদে রাগের ধরন হয় ভিন্ন। একটা মানুষ যেকোনো কারণেই রেগে যেতে পারে। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তাই রাগকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করার মানসিকতা থাকা প্রয়োজন।

 

অনেক সময় ডিপ্রেশনের বহিঃপ্রকাশও ঘটে রাগের মাধ্যমে। বিশেষ করে তরুণ বয়সীদের ক্ষেত্রে এটা বেশি ঘটে। তারা তাদের মন খারাপটা রাগের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। তাই এ ব্যাপারে আগেই থেকেই জেনে রাখা প্রয়োজন। 

 

রাগের কারণ ব্যক্তি নির্ভর বা পারিবারিকও হতে পারে। তাই রাগের নির্দিষ্ট কারণটি খুঁজে বের করতে হবে। নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে না পেলে রাগ আবার ফিরে আসতে পারে। সাইকোলজিক্যাল বিভিন্ন সমস্যা থেকেও একজন ব্যক্তির রাগ হতে পারে। এসব ব্যাপারে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। 

মনে রাখতে হবে, প্রতিটি মানুষের  রাগের ধরন আলাদা আবার কারণও আলাদা। তাই সকলের পরিস্থিতি কখনো এক সমীকরণে আনা যাবে না। রাগের নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি একদম ভিন্ন। তবে রাগের সময় মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মেজাজ নিয়ন্ত্রণে নিজেকে সময় দিন।

 

রাগ হলেই তা প্রকাশ না করে অপর পক্ষেরও কথা শুনুন। তাদের দিক থেকেও এমন কোনো বিষয় থাকতে পারে যার ব্যাখ্যা আপনার রাগ কমাতে সাহায্য করতে পারে। মেজাজ খারাপের মাথায় আমরা অনেক ভুল করে বসি। তাই ঠাণ্ডা মাথায় ভাবুন। প্রয়োজনে একা থেকে কারণটা জানার চেষ্টা করুন। যদি কোনো শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কারণে হয় সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ