মন ভালো রাখবেন যেভাবে
দেহের সুস্থতা বজায় রাখতে আমরা কত কী করি। কিন্তু মনের সুস্থতার কথা কজনই বা খেয়াল রাখি। দেহের সুস্থতা যেমন জরুরি মনের সুস্থতা তার থেকে আরও বেশি জরুরি। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে তার প্রভাব পরবে শরীরের উপর। শরীরের জন্য আমরা কত ধরনের ওষুধ, থেরাপি, ডাক্তার কত কিছুর শরণাপন্ন হয়ে থাকি। মন সুস্থ করতে কী করা যায়,
১. মন খুলে কথা বলা:
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে কখনো সুখকর ঘটনা ঘটবে আবার কখনো দুঃখের ঘটনা ঘটবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মনের ভাব, আবেগ প্রকাশ না করে নিজের মধ্যে চেপে রাখলে তা মানসিক অস্বস্তির সৃষ্টি করতে পারে। সুখ, দুঃখ যাই হোক না কেন আপনজনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে নিজেকে অনেকটা হালকা ও ভারমুক্ত মনে হবে।
২. ভালো ঘুম:
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অত্যন্ত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ ও সুন্দর থাকার জন্য ঘুমের বিকল্প নেই বললেই চলে। যারা নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমান, তাদের শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। ঘুম পর্যাপ্ত না হলে কোনো কাজেই মনোযোগ দিতে পারবেন না। আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে ঘুম। তাই সারাদিন কর্মব্যস্ততায় কাটলেও ঘুম যেন পর্যাপ্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৩. শরীরচর্চা:
শরীরচর্চা যেমন শরীরের জন্য উপকারী তেমনি মনের জন্যও উপকারী। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীর যেমন সুস্থ ও সতেজ মনে হয় মনও সুস্থ ও সতেজ মনে হয়। প্রত্যেকদিন না হলে নিয়ম করে সপ্তাহে কয়েকদিন শরীরচর্চা করুন। জিমে গিয়ে ভারী কোনো ব্যায়াম না করে চাইলে সহজ ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন।
৪. মেডিটেশন :
মনের সর্বজনীন ব্যায়াম হচ্ছে মেডিটেশন। নিয়মিত মেডিটেশন চর্চায় মনের রাগ ক্ষোভ দুঃখ হতাশা টেনশন স্ট্রেস বা মানসিক চাপ দূর হয়। নেতিবাচকতা থেকে ইতিবাচকতায় বদলে যায় দৃষ্টিভঙ্গি। তাই নিয়মিত মেডিটেশন করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৫.ঘোরাঘুরি :
রোজ একটি নির্দিষ্ট রুটিনের মধ্যে আমাদের দিন পার হয়। দিনের পর দিন সকাল থেকে রাত একই রুটিনে চলতে থাকলে একঘেয়েমি চলে আসা স্বাভাবিক। আর জীবনে একঘেয়েমি চলে আসলে তা সরাসরি আপনার মনের ওপর প্রভাব ফেলবে। তাই মাঝেমধ্যে স্বাভাবিক রুটিনের বাইরে গিয়ে ঘোরাঘুরি করুন।
৬.স্বাস্থ্যকর খাবার :
মন ও শরীর একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শরীর সুস্থ না থাকলে তার সরাসরি প্রভাব গিয়ে পরে মনের ওপর। সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। কারণ আপনার গ্রহণকৃত খাবার থেকেই শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেয়ে থাকে। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর সুস্থ থাকে।
অনন্যা/জেএজে