মেহেদী রাঙা হাতে ঈদের দিনে
ঈদ মানে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠার একটি দিন। ঈদ মানে হাসি আনন্দে মেতে ওঠার একটি দিন। আর ঈদ আনন্দে হাতে মেহেদী লাগাবে না এইরকম মেয়ে খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। ঈদের অন্যতম একটি বড় আকর্ষণ হচ্ছে দুই হাত ভরে মেহেদী লাগানো। ঈদের সাজ মূলত শুরু হয় সেই মেহেদী লাগানো থেকেই। তখন থেকেই মনে হয় এইতো এসেই পরেছে। ঈদের দুই একদিন আগে থেকেই মেহেদী লাগানো শুরু হয়।
সময়ের সাথে সাথে মেহেদি লাগানোর এই উৎসবের অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগে একটা সময় ছিল মেহেদী বেটে পুরো নখে এবং আঙ্গুলে লাগানো হতো। সময়ের সাথে সাথে স্বাভাবিকভাবে সবকিছু পরিবর্তন হয়েছে। পাশাপাশি মেহেদী দেওয়াতেও বেশ পরিবর্তন এসেছে। এই যেমন একসময় ছিল টিউব মেহেদী। এখন যদিও কোণ মেহেদীর প্রচলনটা একটু বেশি। এছাড়াও ডিজাইন মধ্যে রয়েছে বেশ ভিন্নতা
এখনকার ডিজাইন গুলো প্রচুর পরিমানে আকর্ষণীয়। এখনকার ডিজাইনের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজাইন হচ্ছে অরবিয়ান, ইন্ডিয়ান ও ম্যান্ডেলা বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন।
অবশ্য বয়স ভেদে মেহেদি লাগানোর নির্ভর করে। অবশ্যই ছোটদের যেরকম মেহেদী হবে, বড়দের এরকম হবে না।
তবে মেহেদী লাগানো উৎসবটা বেশি আনন্দের বাড়ির বাচ্চা কিংবা ছোট সদস্য কিংবা বাড়ির মেয়ে-বউদের বেশি। মা, খালারা, চাচিরা এখন এই উৎসবকে দেখেই উপভোগ করতে বেশি পছন্দ করে। তবে এর মানে এই নয় যে তারা এই সব থেকে বাদ পড়ে অবশ্যই তারাও মেহেদী পড়ে।
এখন সবকিছু পাশাপাশি মেহেদীর দিয়ে দেওয়ার যে বিষয়টা সেই বিষয়তেও বেশ পরিবর্তন এসেছে। আগে একটা সময় ছিল পরিবারের কেউ একজন খুব ভালো মেহেদী দিতে পারতো এবং সে একে একে সবাইকে দিয়ে দিত। এখন কেউ যদি মেহেদী দিতে নাও পারে তাও কোন বিষয় নয়। এখন পুরো দেশ জুড়ে নানান জায়গায় মেহেদী উৎসব অনুষ্ঠান হয়। সেখানে গিয়ে নিজের মন মত এবং নিজের বাজেট অনুযায়ী নানান ধরনের নকশায় হাতে মেহেদী দেওয়া যায়। তাই মেহেদী দিতে না পাড়া কিংবা ব্যস্ততা কারণে কেউ যদি মেহেদী পড়তে না পারে সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে এখন আর চিন্তার কোন কারণ নেই। যেকোনো মেহেদী উৎসবে গিয়ে নিজের মন মত নকশায় হাতে মেহেদি পড়তেই পারেন।
এই মেহেদী উৎসব উদ্যোগটি সম্পূর্ণ নারীরাই আয়োজন করে। মূলত মেহেদী আর্টিস্টরাই এই উদ্যোগটি গ্রহণ করে। যারা ভালো মেহেদী পড়াতে পারে কিংবা মেহেদী দিয়ে দিতে পছন্দ করে তাদের উদ্যোগেই এই উৎসবটি আয়োজন করা হয়।