গৃহ স্মরণ
এই ঘর কেড়ে নিয়েছে পুনর্বাসন
এই শীতল মেঝে জন্ম দিয়েছিল এক নবজাতক;
হেনেছিল এই ঘর হঠাৎ আক্রমণ,
দিনগুলো হয়েছিল রাত; রাতের প্রহর ঘুমহীন শান্ত যন্ত্রনা,
মোর স্মৃতিগুলো দিয়েছিল বেদনা।
স্মৃতির কোনো ছবি নেই
শৈশব; কৈশোর; যৌবন অবাধ স্রোতে ভেসে যায় সবটাই,
তারাদের সাথে বলে যাবো কাল কিছু ব্যথার কথা,
হয়নি বলা।
হয়নি বলা; বাঁচার লড়াই আর কুৎসিত বর্ণের-
নানা রঙের অপবাদ আর অপমানের কথা।
সময় তো চলে যাবে একদিন সত্য;
কোন ধাতু দিয়ে গড়া আমি?
আমি কোন পদার্থ?
উদার নদীর মতো করে;
সময় সামাজিক হয়নি জীবনের তরে,
সংস্কৃতির পাহাড়; ভ্রষ্টতার সাথে কেড়ে নেয় আহার।
সেদিনও তো বুঝিনি রবো বেঁচে কোনোক্রমে এতদিন।
আমি জীবন, সময় এবং সমাজের ক্রীতদাস।
ক্রীতদাস হয়েছি সম্মান চলে যাওয়া নানান ঘেরাটোপের মাঝে।
আর্থিক আনুকূল্য আড়াআড়ি দিয়েছে পারি
খনন করি পূর্বজনমের ঐতিহাসিক ভিড়ের উত্তাল সমাগম।
প্রেতছায়ার ডাকেও ব্যর্থ হই চলে যেতে,
মায়ায় ভরা নদী উপচে পড়ে হঠাৎ আগন্তুক রমণীর দিশায়;
আবার বাঁচার গান করে সময়।
ঋণী হওয়া প্রজন্মের সম্মুখে তাকাই এখন
সেই ঘর; সেই পুনর্বাসন;আমার ত্রি জনমের আপন
এখনো কালি মাখা পথ সাহসের কঠোর আস্তানা,
সেই ঘর ঘর নেই, এই ঘর আমার বেঁচে থাকার ঠিকানা।