ওজন নিয়ন্ত্রণে দেশীয় খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা
ওজন নিয়ন্ত্রণে আমাদের প্রতিদিনকার খাদ্যাভ্যাস খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আর সেটা যদি আমরা করতে পারি দেশীয় এবং আশেপাশে পাওয়া সহজলভ্য খাবারের অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে, তাহলে তো কথাই নেই। ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পাশ্চাত্য সভ্যতার দামী খাবারের প্রতি আমরা কেন জানি একটু বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি দিনে দিনে। কিন্তু আমাদের দেশীয় অনেক স্বাস্থ্যকর এবং সুলভ মূল্যের সহজলভ্য খাবার আছে যেগুলোর মাধ্যমে আমরা অতি সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
দেশীয় ফল
আমাদের দেশে অনেক ধরনের ফল পাওয়া যায়। যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার যা ওজন নিয়ন্ত্রণে এবং ক্ষুধা নিবারণে সাহায্য করে। দেশীয় ফল – যেমন আমলকী, সবেদা, পেয়ারা, বরই, তরমুজ ইত্যাদি। আমাদের দেশীয় ফল গুলো ভিটামিন এ এবং সি এর একটা বড় উৎস।চিনি ছাড়া এসব ফল দিয়ে জুস বা শরবত বানিয়ে খেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ঘরে পাতা টক দই
সাধারণত ঘরে পাতা টক দইয়ে ফ্যাট কম থাকে। টক দইয়ে আছে ল্যাকটিক এসিড যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খাবার পরে টক দই খেলে এটি ওজন এবং কোলেস্টেরল, কমাতে দারুণ কাজ করবে। কিন্তু দিনে ৩০০-৫০০ গ্রামের বেশি দই খাওয়া উচিত না।
মুড়ি/ খই
মুড়ি/ খই এসব হতে পারে চমৎকার স্নাকস আইটেম। মুড়ি এবং খই যেহেতু পানি টেনে নেয় যার কারণে আমাদের পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে, খুদা কম লাগে। হাড়কে শক্ত করতে ও মুড়ির ভূমিকা আছে কারণ এতে আছে ভিটামিন ডি ,থায়ামিন উপাদান। রক্তচাপের সমতা রক্ষা করতেও কাজ করে মুড়ি,চিড়া, খই । তাছাড়া এটি আমাদের শরীরে এনার্জির ভালো উৎস হতে পারে ।মুড়িতে রয়েছে ডায়েটিরি ফাইবার যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
দেশীয় সবজি
গ কমাতেও সাহায্য করে। কচু পাতায় থাকে আইরন। ফুলকপি, মিস্টি কুমড়া, পালংশাক,মিস্টি আলু ইত্যাদি সবজি দেশীয় সবজি আমরা আমাদের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারি। এসব সবজি পর্যাপ্ত নিউট্রিয়েন্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য খুবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মশলা
দারুচিনি ওজন কমাতে দারুণ সহায়ক।দারুচিনি নিয়মিত খেলে খিদে কমে যায়। শরীরে জমে থাকা চর্বি কমাতেও সাহায্য করে এটি। মৌরি পাচনতন্রের জন্য উপকারী। হলুদ আমাদের শরীরের ফ্যাট টিস্যু তৈরি হতে দেয়না। আদা, এলাচ, জিরা, কাচা লংকা সহ আরো নানা ধরনের দেশীয় মশলাতে আছে ঔষধি গুন সম্পন্ন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণকারী উপাদান যা আমরা রান্নায় অথবা জুস বানিয়ে বা চায়ের মধ্যেও ব্যাবহার করেও খেতে পারি অথবা আলাদাভাবেও খাওয়া যেতে পারে।
সাবিকুন নাহার সুরভি
নিউট্রিশন এন্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং