ছুটি
আমার তালপাতার ছানি দেওয়া ঘর
তোমাকে এখনো মনে পড়ে
আমার মাটির সড়ার পানি
বুক করে দাও শীতল।
ক্ষেতের আল ধরে হেঁটে যেতে যেতে দেখি
নালা কেটে খাল থেকে পানি ঢুকছে হু হু করে
শামুকের ছিলা দিয়ে আমার কাঁচা আম ছাড়ানোর দুপুর
পকেটে নুন লঙ্কা গুঁড়োর পুড়িয়া
রোদে মাছ ভাসে, বাঁশ গাছের উপড়ে পড়া ছায়া।
কাঁদা পা, পাঁকে পাঁক, স্কুল ছুটি
পুকুর ঘাটে এসে ধুয়ে নেব চটি
বিকেলে শূন্য বাঁশি নিয়ে কখনো গিয়ে
বসে থাকবো নদীটির পাশে।
সে নদীর কত নাম, কত জলরাশি
কোথা হতে আসে নদী, কোথা গিয়ে মেশে
হারিয়ে গেলে মাটি, আমরাও হারিয়ে যায়
কোথাও গিয়ে শেষে
পেটের আগুন নিয়ে শুধু নুনভাত খুঁজি।
অনন্যা/এসএএস