আত্মহনন

পরাজিত পরিণয়ে হৃদয়ে দহন,
চেতনায় মরনব্যধি নাকি মরমের বলিদান?
একদণ্ড ভাব তো,
তোমার শূন্যতায় কি রোজনামচাটার
প্রতিটি পাতা শূন্যই রবে,
নাকি দিনপঞ্জিটা ধুলোপড়া অভিলেখাগারে
অমনই ছাতাপড়া দলিল হয়েই রইবে?
না তো!
দেয়াল ঘড়িটা টিকটিক শব্দে
ঠিকই বহমান কালের ঘণ্টি বাজাবে,
কাঁচের জানালাটাও ঝাপসা হবে বাদলের ছটায়,
পানকৌড়িও তার চেনা আলয়ে ফিরবে দিনান্তে,
দিনশেষে চায়ের কাপেও পড়বে নিত্য চুমুক,
নব পূজনীয় উঁকি দেবে তার মন-মন্দিরে।
শুধু তুমি নেই,
কেউ রাখলো মনের গহীনে চিরসবুজ,
নতুবা
কারো গহীনে তুমি অরণ্যের ন্যায় আলোছায়া।
তোমার শূন্যতায় দিনান্তে একটা দীর্ঘশ্বাস!
সে তো সহস্রাধিক জনমের পুণ্য করতে হয় গো।
তুমি কি জানো,
জীবন কারও জন্য থেমে থাকে না!