বৃষ্টির অতিথি

নিশ্ছিদ্র নীরবতায় বৃষ্টি নামে,
অচেনা বিকেলে হঠাৎ হাওয়ায়।
ক্ষণিক আশ্রয়ের প্রত্যাশায়
কোন এক অচেনা পরীর আগমণ
আমার ঘরের অলিন্দে।
চোখে তার এক অপূর্ব বিস্ময়! চুল ভেজা,
কপোলে জলের রেখা চুইয়ে পড়ে তখনো;
“ভিতরে আসো” কথাটি শুনেই চমকে ওঠে!
বাদলধারা তাকে “না” বলতে নিষেধ করে।
দুজনে বসি মুখোমুখি কিছু কথা কিছু্ক্ষণ।
বাহিরে শ্রাবণধারা থামে
বৃষ্টির অতিথি বিদায় নেয়;
কিন্তু বুকের ভিতরে শ্রাবণধারা থামতে চায় না
অঝর ঝরে সারাক্ষণ।
যতবারই বৃষ্টি নামে
ততবারই জানালার গ্লাসে ভেসে ওঠে
জলে আঁকা সেই মুখ।
বারান্দায় তাকাই, আশায় থাকি
হয়তো সে আবার আসবে সহসা!
তাকে খুঁজি বৃষ্টির শব্দে, ভেজা বাতাসে, চায়ের কাপে।
জানি—সে আসবে না আর কখনো
তবুও কেন জাগে সেই স্মৃতিটুকু আজো।