কাগজ কুড়ানী
সকাল বেলা উঠে দেখি
একটি ছোট ছেলে
বিরাট বড় বস্তা কাঁধে
যাচ্ছে হেলে দুলে।
বয়স টা তার নয়কো বেশি
হবে আট বা নয়,
বস্তির কোন গরীব ছেলে
দেখে মনে হয়।
পাশ দিয়ে তার যাচ্ছে স্কুলে
বড় লোকের ছেলে,
মা-রা তাদের হাত বুলিয়ে
তুলছে বাসে ঠেলে।
আদুল গায়ে কাগজ কুড়ায়
সঙ্গে ভাঙা শিশি.
ইচ্ছে হল,ডাকি ওকে
একটু খানি মিশি।
বলি তাকে, এই ছেলে তুই
খেয়েছিস কি কিছু?
দু’দিক পানে মাথা নাড়ে
মুখটি করে নিচু।
বসিয়ে তাকে আমার পাশে
খাবার দিলাম আমি,
বুঝতে পারি খাদ্য গুলো
ওর কাছে খুব দামী।
খাবার পরে, শুধাই তারে
যাস নাকি তুই স্কুলে ?
ছেলে বলে, পড়ার কথা
কবেই গেছি ভুলে।
মা-যে আমার কাজ করে
লোকের বাড়ি বাড়ি,
বাবা সকাল থেকে চালায়
একটা রিকসা গাড়ী।
পাড়ায় মোদের আছে আরও
আমার মত যারা,
সকাল হলেই পেটের টানে
সবাই পাড়া ছাড়া।
কেউবা করে দোকানে কাজ
টেবিল চেয়ার মোছে,
কেউ বা আবার বেড়ায় ঘুরে
নতুন কাজের খোজে।
দু’বেলা যে ভাত জোটে না
পড়ব কেমন করে?
নতুন জামার মুখ দেখিনি
অনেক বছর ধরে।
সকাল থেকে লড়াই করি
জোটাতে পেটের ভাত,
জীবনে মোদের সকাল কোথা
শুধুই আধার রাত।