বাল্যবিয়ে

একটা খুকি ভীষণ দুঃখী! মনটা খারাপ ভারী
এই ছড়াটি লিখছি আমি বলছি কথা তারই।
বাল্যকালেই ঐ খুকিটির হয়ে গেল বিয়ে
কষ্টে খুকির লিখছি ছড়া বাল্যবিয়ে নিয়ে।
বিয়ের পরে পড়াশোনা করতে অনেক বাধা
লেখাপড়ায় নিষেধ করে স্বামী ঠাকুরদাদা।
চাকরিবাকরি করবে কেন সেই ঠাকুরের বারণ
ঠাকুরদাদার মনের মাঝে সেকেলে সব কারণ!
স্বামীর ঘরে ঐ খুকিটা মায়ের কথা ভাবে
শ্বশুরবাড়ি স্বপন দেখে বাবার আদর পাবে।
যে বয়সে একটা খুকি স্কুল-কলেজে পড়ে
সেই বয়সে বিয়ে হলে অকালে যায় ঝরে।
নিত্য হাজার খুকি পড়ে বাল্যবিয়ের ফাঁদে
শিশুকালে অবুঝ হৃদয় দুঃখ-জরায় কাঁদে।
বাংলাদেশের বাল্যবিয়ে করতে প্রতিরোধ
ঘরে ঘরে জেগে উঠুক স্বচ্ছ জীবনবোধ।