গাঢ় অনুরাগে
প্রজাপতির পাখায় বসন্ত উড়ে সারাটি বেলা
কুহু কুহু গীত, দুপুরটা বেসামাল শিমুলতলা
লাল শাড়ি পরে চনমনে কোন এক মন শনশন
করে থমকে দাঁড়ায় পুবের পাঁশুটে খিড়কিতে ।
চোখের তারায় কষ্টকুহেলিকা
মনের খাতায় বিয়োগের দর্পোদ্ধত হাঁটা
স্বপ্নগুলো ঝুলে আছে চিলের তীক্ষ্ম নখরে
ইচ্ছেরা সমাজচ্যূত কাতরায় আকাশের
নীলস্রোতে।
স্বচ্ছতোয়া নদী মেঘ হয়ে ভাসে দূর অজানায়
‘রাক্ষসী কপাল’ জোছনার চুম্বন এক খাবলে
চিবিয়ে খায়।
ধ্রুপদী পিপাসার চামড়া পুড়ে যায় সমুদ্রের আঁচে-
তবুও এ হাত দু’টো মিলে যায় খিড়কির ওপারে
ঐ দু’টো হাতে।
জীবন জীবনে মিশে যায় নতুন অরুণের বন্যায়-
যে কপালে টিপ ছিল কাঁচপোকার ময়ূরী খোলস
লাল কিংবা কালো বৃত্ত সেখানে এখন বেশ খোশ
শোক পালন অথবা দ্রোহী যুবতীর প্রাণিত প্রতীক
ঐ টিপ!
যে বেণীবন্ধনে এঁটে দিতো ঝাঁক ঝাঁক জুনিপোকা
আঁধারিয়া রাতে, প্রতিবাদী চাবুকের সাহসী যৌবন
গোঁজা এখন ঐ তল্লাটে
যে নয়নের অঞ্জনে ছিলো জৈবিক তাড়নার কবিতা
সেখানে আজ মেলেছে সংশপ্তক আগুনের ডানা।
মেয়ে,
ঐ হাসির মৃণালে ফুটে আছে হাসি গণমানুষের
ঐ চোখের প্লাবনে ভাসে সবটুকু নোনা জল দুখীজনের
ঐ কাঁধে এক থলে দ্রোহে রঙ আছে সুশ্রী সমাজের
বেঁচে থাক তোমার ভালোবাসা, জয় হোক জীবনের।
মেয়ে,
তুমি ‘পবিত্র প্রাচুর্য’ ঐ খিড়কিওয়ালার প্রেম-বাগে
মনের গহীনে অহর্নিশ সে পুষে তোমায় গাঢ় অনুরাগে।