চার কবিতা
এসো গাছ লাগাই
মাঠফাটা ওই তপ্ত খরায়
শুকায় যেন শুষ্ক গলা,
শূন্য উদক বৃষ্টিহীনে
নোনাঘামে পথটি চলা।
পুড়ছে দেহের ভিতর বাহির
ভ্যাপসা গরম অগ্নিবায়ু,
বৃক্ষহীনে ফাটছে মাটি
যাচ্ছে কমে জীবন আয়ু।
পশু-পাখি, নদী-নালা
বাঁচুক আবার সবুজ ঘিরে,
শীতল বায়ু,শীতল মাটি
আবার আসুক ধরায় ফিরে।
পরিবেশের ভারসাম্য
রক্ষা করি লাগাই গাছ,
বাঁচতে হলে এসো সবাই
সবুজ বনের করি চাষ।
প্রস্থান
তুমি চলে গেছো তাই
শ্রাবণী বৃষ্টি এলো না ধরাতে
চোখের ভিতর খেলে না মেঘের কুণ্ডলী
চৈত্রের খরার মতো ফাটল বুকটার হাহাকারে শুকিয়ে গেছে অশ্রুবারি।
বিরহের বাদ্য বাজে নির্দয় শূন্যতার আকাশে।
তুমি চলে গেছো তাই
ভোরের শুকতারা ঝরে ঝরে পড়ে শিউলি ফুলের মত কচি দূর্বাঘাসে।
মেহেদি পাতার রঙের লাল কষ্টরা মিটমিট করে জ্বলে নক্ষত্রের আলোয়।
স্বর্গের সিঁড়ি বেয়ে তুমি চলে গেছো সীমাহীন রাজ্যপটে।
তাই আমার ভালবাসার কলাপাতা দোলানো ঘরটা দুলতে থাকে দুঃখের হাওয়ায়।
মনের গোপন কোঠায় কাটা বাঁধে নির্লিপ্ত তৃষিতা।
বধির অনুভূতিগুলো হামাগুড়ি দিয়ে চেয়ে থাকে তোমার প্রস্থানের দিকে।
অবলা যন্ত্রণায় জর্জরিত হৃদয়খানি খোড়া হয়ে বেঁচে আছে পলাতক হাসি দিয়ে।
এ কেমন তোমার নিষ্ঠুর, নির্দয় প্রস্থান!
সেই ছেলেটি
নির্বাক ঢাহনি বোবা সেই ছেলে
বসে থাকে ধুঁলিতে পা দু’টি মেলে।
মায়াভরা মুখ তার ছল ছল আঁখি,
অনুক্ত কত কথা রেখেছে ঢাকি।
ক্ষুধা আর দারিদ্রের কষাঘাত খেয়ে
ঝড়ো হাওয়ায় ছুটে আসে দুঃখটা ধেয়ে।
সঙ্গী নেই তার বসে থাকে একা,
ব্যস্ত শহরে করে না কেউ দেখা।
আকাশটা ডাকে সে বাতায়নে এসে,
ছেড়াকানি শরীরে এলোমেলো কেশে।
বোঝেনা কেউ তারে শোনে নাতো কথা,
ঝরে যায় নিরবে কত শত ব্যথা।
মুছে যায় স্বপ্ন মুছে নাতো ক্ষত
অশ্রুুতে বুক ভিজে রাত কাটে কত।
ঢেকে থাক আঁধারে যত আছে কালো
আঁধারের মাঝে আছে মুক্তির আলো।