অনিশ্চয়তা
অনিশ্চয়তা জীবনকে ভেতর থেকে
নিঃশব্দে কাঁদতে শেখায়
বোবা হয়ে যাওয়া শেখায়
চারপাশে তখন শূন্যতারা ভীড় করে
বেঁচে থেকেও মরে থাকার মতন অনুভব।
শূন্য পুরিতে আপনজন থাকে না কেউ
বলার মতন বিশ্বস্ত কোন জন
যাকে মনের কষ্টগুলো বলে হালকা হওয়া যায়।
চারদিকের বিভেদগুলো ছোট করে রাখে
কপর্দকহীন,ভালোবাসাহীন একটি পৃথিবী!
আমার আমিকে তুচ্ছ করে যেচে ঢুকে পড়া
এক পৃথিবীতে শুধুই আঁধারের সাথে বসবাস।
এ সমাজ কাউকে সাহায্য করে না ঘুরে দাঁড়াতে
নিজের পায়ের তলার মাটিকে নিজেই খুঁজে
ক্লান্ত হয়ে এক সময়
দাঁড়ায় আপন ঠিকানায় ঠিকই।
সেই দিনগুলো!সেই কষ্টগুলো আজীবন
একাকি সময়ের সঙ্গী হয়।
যখন দাঁড়াতে পারে তখন সবাই হাত বাড়ায়
ইচ্ছে না করা সত্বেও সেই হাতগুলো স্পর্শ করতে হয়
দুঃসময়ের ক্লান্তি ভুলে, অভিনয় করতে হয়
যে অনিশ্চয়তা বিষন্ন ভগ্নহৃদয় তৈরি করে
জীবনকে শক্ত হতে শিখায়!
অভিযোগ ভুলে আপন করে নেয় তুচ্ছ দৃষ্টিতে
তাকানো মানুষগুলোকে
ভিতরে রেখে বিষাদস্মৃতিগুলো।
ঘুমাতে দেয় না যদিও সেই সব দিনগুলো
তখন সেগুলো একান্ত নিজের করে
অবসরে অবস্থান করে
চোখের জলগুলো একাই মুছে দিয়ে বলে!
এখন তো নিজের মতন বাঁচতে পারছো?
অনিচ্ছুক আরেক শব্দ শোনায়
তুমি বেশ ভালো আছো!
কিন্তু সেই সময়গুলো, সেই দিনগুলো,
ফিরিয়ে দিতে পারবে?
হাজার বার আহত করে শয়নে স্বপনে