মন, জোড়া চোখ ও আলো
লোকটির মেরুদণ্ডে একটি সূর্য ঠায় দাঁড়িয়ে
মেঘলা নয়, স্বচ্ছ আকাশ থেকে নেমে আসে কিছু বাঁশ ফাটা শব্দ তরঙ্গ
ঝলমল করে ওঠে রামধনু
এখানে কর্কশ কোন মধ্যযুগ নেই
নেই আধুনিকযুগের গোলা-বারুদের
বীভৎস ঝলসানি
অথচ অকুল পাথার
লোকটির জোড়া চোখ যতদূর যায়
শুধু বিশ্রী অন্ধকার
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হরিদ্রাভ বটগাছটির কণ্ঠে নির্দেশনা আসে : ‘মনের নয়ন খোলো’
আচমকা সমান তালে হেঁটে যাওয়া এক সুশ্রী ছায়ামূর্তির প্রেমে পড়ে যায় ;
হরিণ-দৌড়,.. হাঁসফাঁস;…তবু নাগাল মিলে না তার…
ছায়ামূর্তি একটি পত্র উড়িয়ে দেয়:
হায় প্রেমিক, এতো দূর কেন?
আমাকে দেখতে চাও! পেতে চাও!
তোমার মেরুদণ্ডে খোঁজো।