হেমন্ত
শূন্য গোলা পূর্ণ করে
লক্ষ্মী আসে দ্বার খুলে,
শিশির ভেজা সোনারোদে
হালকা মেঘের পাল তুলে।
খুশির মাদল বাজলো ঘরে
শীতল জলে খেলে হাঁস,
আলোছায়ায় মেঘের খেলায়
হেসে উঠে দুর্বা ঘাস।
ঘোমটা খোলে হলুদ গাদা
মটরশুঁটি কলায় ফুল,
মাঠ সাজলো সোনা রঙে
কানে পরে শিউলি দুল।
পাকা ধানের মৌ গন্ধে
চাষীর মুখে চাঁদের হাসি,
নলেন গুড়ের সুবাস ছড়ায়
চারিদিকে রাশি রাশি।
নবান্নের এই উৎসবতে
হৈম আসে ঘোমটা খুলে,
বিলে- ঝিলে পদ্ম -শালুক
শস্য ফুলে নাচলো দুলে।
আপনদানের আড়াল করে
লক্ষ্মী আসে বারংবার,
চাষের বুকে স্বপ্ন আশা
মাঠ ফসলের অহংকার।