স্মরণে, শঙ্খ ঘোষ
বারেবারে কেন তাল কেটে যাচ্ছে, ছন্দ কেটে যাচ্ছে আমার
নিঃসীম অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছি, ফুরিয়ে আসছি
হাত পা কাটা মানুষের মতো আমি কি তবে ডুবে যাবো
ডুবে ডুবে, আরো আরো আরো গাঢ়তর অন্ধকারে
নিজের রক্ত নিজে খাবো আর উগলে উগলে যাবো বিষ।
শিশির শব্দের মতো, অন্ধের হস্তিদর্শন জানে
দণ্ডকারণ্যেও শেকলের মতো জড়িয়ে থাকে লতা
আমরা জানিনা কেবল, যারা দেখেও দেখিনা
বুঝেও বুঝিনা, মাটি কীভাবে শূন্যে
শূন্য কীভাবে মাটিকে হাতছানি দিয়ে টানে
ঝুলন্ত উদ্যানের মতো জেগে থাকি শুধু, তল ছোঁব বলে।
তোমার দর্শনের প্রতি আকর্ষণ বয়ে চলে নিরন্তর
জড়িয়ে ধরতে গেলে, জেগে ওঠে শীতল শরীর
অতলে মোমের কফিনে তরঙ্গ খেলে খেলে যায়
মমি হয়ে জেগে থাকো কাঠফাটা বসন্ত সমীরণে
আর কেউ তোমায় কখনো কোনো হুঁল ফোটাতে পারবে না
পোকামাকড় গুলো খুঁজে নেবে একে একে আপন আস্তানা।
ব্যথাগুলি নিয়ে জলের বুকে ভাসাবো প্রদীপ
মানুষের ভিড়ে মানুষের স্বপ্ন গুলো গলবে
ফ্যানে-ভাতে জ্বলবে, পোড়খাওয়া তারার মতো
রাত্রি ডোবা জলের বুকে খুঁজে নেব ত্রাণ
নোনাজলে চাঁদ, বুকে এসে বাসা বাঁধবে, রাঙিয়ে দেবে শয্যা।
প্রলয় এলে আমরা পাহারা দেব তোমায়
করুণ ব্যথায় দ্বিখণ্ডিত করে দিও মাটি
জড়িয়ে ধরে যাতে তখনো কাঁদতে পারি
শরীরে শিকড় ছড়িয়ে মাথার ওপর ছড়িয়ে পড়বে বজ্র-পাতাল
যখন ইচ্ছে হবে, চোখের জলে এসে ফুল ফুটিয়ে দিয়ে যেও।