অত্যাচার
আমি এই ঘুণে ধরা সমাজকে
কিছু বলতে চাই,
আমি যে কথা বলার চেষ্টা করছি
তা হয়তো বলতে পারছি না,
আর কখনও বলতে পারব না তা।
বয়স আমার ষোল
গ্রামের লোকে বলে ডেঙ্গি মেয়ে।
চোখে লজ্জা পেটে ক্ষুধা
শরীর ছেড়া কাপড়ে ঢাকা,
ছেড়া কাপড়ে রাস্তায় বের হতে
নিজেকে বড় খাটো লাগে।
পাড়া-প্রতিবেশী সবাই দেখে আড়চোখে
এক মুঠো অন্ন দেয় না কেউ
এই অভাগিনীর মুখে তুলে!
অভাবের তাড়নায় কত
ঘুরেছি মানুষের বাড়ি-বাড়ি,
অবশেষে বড় বাবুদের বাড়ি
পেয়েছিলাম আশ্রয়।
সপ্তাহ খানেক থাকার পরে
বড় বাবু আড় চোখে কেমনে যেন চায়!
আমারও পানে।
বৈশাখের মেলাতে বাড়ির সবাই
গিয়েছিলো বেড়াতে,
বড়বাবু চলে আসলো সবার আগে বাড়িতে
বাবুকে বললাম
বাবুজি আপনি একা এসে পড়লেন?
বাবুজি বলে উঠলো
ওরে বোকা মেয়ে তোর জন্য এসেছি!
এই বলে শরীরে হাত রেখে
জড়িয়ে ধরলো আমায়!
আমি মুখ বুঝে সহ্য করে
ধুকে-ধুকে কাঁদলাম!
রাতের আধারে ফাঁসির দড়ি
গলায় জড়িয়ে!
এই ঘুণে ধরা সমাজ থেকে
মুক্তি নিলাম!
বড়বাবুদের অত্যাচার হতে!