নিশিকন্যা
একটি শুকনো পাতা, ঝরে যেতে যেতে বলে গেল
তার সবুজ বেদনা, হেমন্তের শিশিরের জলে
বলে গেল টাক মাথা গাছটার শীতের বেদনা
সারারাত টুপটাপে কথা বলে যায় ঝরাপাতা
শুনে যায় নিশিকন্যা, কুয়াশার চাদরে গা ঢেকে।
ভোরের কাকেরা এসে নিশিকন্যাকে তাড়িয়ে দেয়
হেঁসে হেঁসে কাছে এসে শীতের চাদর ছিঁড়ে ফেলে
ছিঁড়ে ফেলে দেয় সূর্য, উপহাসে মেতে উঠে ঋতু
এবারে সে ভিখ মাগে ফিরে চায় তার সবুজতা
বসন্তের আগমনে কচি কচি সবুজতা সুখ।
এবারে মেতেছে গানে পুবের হাওয়ার স্পর্শ টানে
নিশিকন্যা শুনে যায়, দেখে যায় সেই উন্মাদনা
আহারে! বহুরূপতা, নিশিকন্যা থাকে চুপ করে।
যৌবনে ভ্রমরে ডাকে, কাছে টেনে ভালোবাসে
বাতাসে উড়িয়ে দেয়, সুগন্ধির টানে বৃষ্টি আসে
সোঁদা গন্ধ ম্লান হয়, মেতে উঠে টসটসে ফলে
আহারে! বহুরূপতা, নিশিকন্যা থাকে চুপ করে।
নিশিকন্যা শুনে যায় দেখে যায় সেই উন্মাদনা
কেউ জানেনা কেউ না, নিশিকন্যার মনোবেদনা।