বাংলার বাঘ
মারতে মারতে এতো যে কালশিটে দাগ করে দিয়েছ
জানো না বুঝি, এগুলো বাঘের গায়ে আঁকা থাকে
হ্যাঁ, বাংলা মায়ের দামাল ডোরাকাটা বাঘ।
ভয় পেয়েছো তোমরা
হাতে না-পেরে ভাতে মারতে চেয়েছো
ভাতে না-পেরে এখন, নিরীহ মানুষের ওপর
অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছো।
জবাব দিতে শিখে গিয়েছি আমরা
অক্ষরে অক্ষরে জবাব
এতদিন মার খেতে খেতে, দেয়ালে ঠেকে গেছে পিঠ
মেশিনগানের সামনে,কুড়িয়ে পাওয়া অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছি।
লক্ষ লক্ষ মানুষকে, বুলেটে ঝাঁঝরা করে দিতে পারো
ঘরবাড়ি পুড়িয়ে, শ্মশান করে দিতে পারো গোটা দেশ
তবুও থামবে না,আমাদের সংঘবদ্ধ প্রতিবাদী গান।
না-পেরে এখন
জীবন্ত হায়নার খাঁচায় ঢুকিয়ে দিয়েছো
বাইরে দাঁড়িয়ে মজা দেখছো খুব
হেসে হেসে খুব মজা দেখছো, তাই না।
থাবা মেরে খুবলে নিচ্ছে চোখ, আমরা অন্ধ
অব্যর্থ নিশানায় তবু লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।
খুবলে নিচ্ছে মাংস
ছিটকে গিয়ে রক্ত পড়ছে তোমাদের মুখে
চেটে পুটে খাচ্ছ।
এই রক্তের ভেতর বারুদ আছে, আছে অভিশাপ
ধ্বংস হয়ে যাবে, ধ্বংস হয়ে যাবে তোমরা।
শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে, দেখো, চালিয়ে যাচ্ছি লড়াই
মরে যাব, তবুও কণ্ঠে থাকবে গান
তোমাদের প্রতি এক বুক ঘৃণা।
আমাদের মায়ের প্রতি, মাটির প্রতি ভালোবাসা
সুন্দর একটি পৃথিবীর স্বপ্ন।
আমাদের বাঘের নাম সাহস
আমরা মুক্তিযোদ্ধা, আমরা বাংলার বাঘ।