দৃষ্টির অন্তরালে তুমি
তোমাকে খুঁজতে গেলেই
খুঁজে পাই হেমন্তের সোনামাখা মাঠ।
তোমাকে ভাবতে গেলেই নকশীকাঁথায় স্বপ্ন আঁকে আঁখি।
তোমাকে স্পর্শ করতে গেলেই
শিশির ভিজিয়ে দেয় গা।
কতবার ভেবেছি, দু'চোখ ভরে আলপনা আঁকবো তোমায় নিয়ে।
তোমার হাতের ফুল নিয়ে খোঁপা সাজাবো।
যখনই হাত বাড়ায়, শিমুল,পলাশ,গাঁদা,বেলী ঝরঝর করে পড়ে খোঁপায়।
আজ সকালটা ছিল একদম অন্যরকম।
সমস্ত আকাশটা সেজেছিল আবির মেখে।
ভেবেছিলাম, প্রভাতের প্রথম সূর্যোদয়ে অর্ঘ্য পরাবো তোমায়।
অর্ঘ্য হাতে নিতেই উচ্চশির নত করলো স্মৃতিসৌধ।
আমার হাতে থোকা থোকা লাল গোলাপ দেখে সবুজ দিলো হাসির ঝিলিক।
আমি বুঝেছিলাম আমার অস্তিত্বে, নিশ্বাসে – প্রশ্বাসে জড়িয়ে আছে সে।
মাল্যখানি পরিয়ে দিলাম তার গলে।
রাগ করোনা লক্ষ্মীটি আমার!
কথা দিলাম, কোন এক ফাগুনে বরণ করবো তোমায়।