কবি
একটু অবসর পেলেই
কবি পালতোলা নৌকায় নিরুদ্দেশ
স্রোত ভেঙ্গে ভেঙ্গে উজানদেশের নিঝুম দ্বীপ হতে তুলে আনেন মঙ্গলগ্রহ।
সুবিস্তৃত কল্পলোক তার সাথে খেলা করে
খড়কুটো হয়ে ভেসে ভেসে বঙ্গোপসাগরের
তলদেশে কিংবা উড়ে চলা সামুদ্রিক পাখিটির ডানায় চরে আকাশগঙ্গায় কবি শব্দের মেলা বসাতে পারেন।
কবি ভূগোলকের মতন-এখানে মরুভূমি, জলাভূমি, ফসলের মাঠ আছে
সমুদ্র আছে, পাহাড়-পর্বত আছে, সুনিবিড় বনভূমি আছে
যে পাত্রেই তাকে রাখা হোক না কেনো তিনি বিশ্বের আকার ধারণ করে থাকেন।
ফুল পাখি বৃক্ষ ও নদীর কথা ও ব্যথা বুঝেন
আকাশের ভাষা মৃত্তিকার আশা-সব বুঝেন
সময় চিনেন বলে তিনি যুগোপযোগী,
মাটির মানুষ তিনি, প্রয়োজনে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন।
কবির দৃষ্টির কোন সীমা পরিসীমা নেই
তিনি যতদূর দেখেন তার সিকিভাগ দেখো না
বলে তুমি তাকে 'পাগলাটে' বলো।