Skip to content

আবেগ ও বাস্তবতা

আবেগ ও বাস্তবতা

সেদিন তুমি হঠাৎ প্রশ্ন করলে- 
'মানুষ কি সব সময় আবেগ নিয়ে বেঁচে থাকে?
যদি নাই থাকে, তাহলে কোন জিনিসের উপর,
কোন মানুষের উপর আমাদের এতো টান কেন?

আমাদের এত প্রীতি, ভালোবাসা কেন?'

 

সেদিন হয়তো তোমার মুখের উপর কোন 
প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি।
আজ বলছি, 'একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে মানুষের ভিতরে আর কোন প্রশ্ন থাকে না।
একটা মানুষের ভিতরে আক্ষেপ থাকে না। 
তখন সে প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠে,
অথবা নিজেকে গুছিয়ে নেয় নিজের মত করে। 
বাঁচতে শেখে বাস্তবতার মাঝে।

 

একটা বয়সের পরে একটা মানুষ আর অনায়াসে
নজরুলের মতো বলতে পারে না, "যেদিন আমি
থাকবো নাক বুঝবে সেদিন বুঝবে! 
অথবা " আমার প্রিয়া হবে খোপায় দেবো তারার ফুল।"
অথবা জীবনানন্দের মত বলতে পারেনা, "কি কথা তাহার সাথে, তার সাথে? 
শহীদ কাদরীর মতো উচ্চারণ করে না, "ভয় নেই প্রিয়তমা।"
তখন সে মানুষ বাস্তবতায় বাচে,
তখন মানুষ বাস্তবতায় হাসে
বাস্তবতায় কাঁদে।'

 

যে আমি তোমার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছি, কবিতা লিখেছি
আবেগ গুলো জমিয়ে জমিয়ে সাগর বানিয়েছি,
আজ সে আর কোন আবেগ নেই, সেখানে শুধু বাস্তবতার ধুধু বালুচর।

 

একটা বয়সের পর কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য, 
বস্তুর জন্য ব্যক্তি আর চোখের জল ঝরায় না। 
কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুর জন্য অভিমান জমা 
করে রাখে না। 
মিছে গোছা করে না। 
কারো জন্য চোখ টলমল করে না হঠাৎ কোন কথা,
কোন স্মৃতি ভেবে। 

স্মৃতিরোমন্থন হতেই পারে, তবে তা কেবলই 
বাস্তবতার নিঃশ্বাসে। 
সেখানে কোন আবেগ নেই, অনুভূতি নেই, 
মন খারাপ নেই, কোন চাওয়া পাওয়া নেই, 
স্মৃতির মাঝে আর কোন উচ্ছ্বাস, উচ্চাশা নেই।
কেবল বাস্তবতার জয়জয়কার সর্বত্র।