বর্ষার অপেক্ষা

ছলাৎ ছলাৎ কোমল ঢেউয়ে অচেনা ব্যথার সুর
পাহাড়ের বুকে বৃষ্টি নেমেছে বর্ষা তবুও দূর;
ডোবা নালায় জমেছে পানি নদীতে এলো জোয়ার
মাঠে এখনও ভিজে না হাঁটু, নৌকা আসে না ধার।
উতলা বাতাসে মাঠের বুকে তুলে না মাঝি পাল
ভাওয়াইয়া গানের করুন সুরে ধরে না সে আর হাল;
হাওরের বুকে জেলেরা এখনো আঁকে না ক্লান্ত দুপুর
গাছের শরীরে নৌকা বেঁধে ধরে না আপন সুর।
উনুনে কেবল জ্বলছে আগুন, পুড়ছে আমার বুক
অভিমানী মনে নোঙর ফেলে বেঁধে রেখেছি সুখ;
অচিন দেশে ভাইয়ের বাড়ি, কতোদিন হয়না দেখা
মাঝির নৌকা আসে না বলে চিঠিও হয়না লেখা।
দখিন দুয়ারে বসে রোজই তাকাই আকাশপানে
পুবের আকাশে মেঘ জমলেই আশায় মনটা টানে;
ব্যথা জাগানিয়া স্মৃতির বর্ষায় শৈশব দেয় নাড়া
রাতের জোছনায় গল্পকথা, হয়না যে আর সারা।
কখন যেন নাইওর যাবো ভাসান পানির বুকে
জড়িয়ে ধরে মাকে একবার কাঁদবো ব্যথার সুখে;
হাওর বাঁওর ডুববে কখন, নৌকা যাবে দেশ
কখন যেন আসবে বর্ষা, অপেক্ষার হবে শেষ!