নারী নদীর মতন
নদীরা সহজিয়া
তার অতল বুকে লুকিয়ে রাখে পেটুক জীবন
অতঃপর লালায়িত মানুষ নদীর তীরে এসে ঘর বাঁধে
কলকল জলের পটে খুঁজে পায় শানকিভর্তি ভাতের ছবি
কড়কড়া মাছ ও পাটশাক ভাজা।
ধানী জমির জল প্রার্থনা,
পুণ্যস্নানে পবিত্র হয় সাধুর জীবন ও জমিন।
নদীকে ভালোবাসতে বাসতে সাধকের ঘরও বড় হয়
বড় হয় গেরস্থালি, বউয়ের নথ ঝুলে থাকে ঠোঁটের কাছে।
তাদের স্বপ্ন পুঁইশাকের ডগার মত তরতরিয়ে বাড়ন্ত হয়
তখন কামে ও ঘামে পুতুলেরা খলখলিয়ে হাসে বিছানায়।
উত্তরের আকাশে মেঘ জমলে
নদীও বেপরোয়া হয়
রাগে গোস্বায় ফোঁস ফোঁস করে
একদিন নদীও মাটির দিকে হাত বাড়ায়। কূল ভাঙে।
গেরস্তের দু'চালা ঘর নদীর ঘোলাজলের ঘূর্ণিতে পাক খায়
তলিয়ে যায় তাদের লতানো স্বপ্ন।
তারপর নদীপ্রেমিক সেই গেরস্ত সব হারায়
প্রেমের দায়ে দেউলিয়া হয়; সাধু মনের মায়া!
প্রিয়তমা, তুমিও নদীর মতো।