আমার মুক্তি
এখানে যাও, সেখানে যাও, আনন্দ কোত্থাও নেই
যদি না আনন্দ থাকে, নিজের ভেতর
এই মহাবিশ্বে কেও উল্লাসে মাতাল, কেও দুঃখে কাতর, কেও শোকে পাথর
কারও কারও সময় শুকনো পাতার মতো ঝরে যায়
আনন্দ কোনও ট্যাবলেট নয়, গিলে খেলেই শান্তি পাওয়া যাবে
আনন্দকে একাকী মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার
একটা রাস্তা তৈরি করেছে, প্রকৃতিবাদীরা
প্রকৃতিতে প্রতিটি মানুষ, গাছপালা, কীটপতঙ্গ নিজের নিজের কর্মে বেঁচে থাকে
জোর করে চাপানো ধর্ম ব্যবসায়ীদের বুজরুকিটুকু বাদ
দুঃখকে বাঁচিয়ে রেখে দুখের-তিমিরে মঙ্গল-আলোক
জ্বালানোর কথা ভেবেছে, নাস্তিকেরা
আলোর নেশায় মজে অন্ধকারকে যেন ভুলে না-যায়
কে দলবাদী, কে ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদী, সেটা বড়ো কথা নয়
বড়ো কথা হলো, নিজের ভেতরে সৎ হয়ে হাতটি বাড়ানো
নিজের ভেতরে একা হয়ে যাওয়া,মানুষটির পাশে গিয়ে দাঁড়ানো
ধ্যানের ঘোরে, বোধের গভীরে গিয়ে, একাকীত্বের বোঝাটি সরানো
কবি মাত্রেই একা, আবার কবি মাত্রেই জন-জোয়ার
কবি মাত্রেই শূন্য, কবি মাত্রেই পরিপূর্ণে
অনন্তে পাড়ি দেওয়া, একাকী, পঙ্খীরাজের ঘোড়সওয়ার